ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই মুর্শিদাবাদ (Mamata Banerjee On Murshidabad) যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ অশান্তি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বহিরাগতরা স্থানীয়দের একাংশকে নিয়ে অশান্তি বাঁধিয়েছে। এর পিছনে চক্রান্ত রয়েছে। তা ফাঁস করা হবে। মঙ্গলবার মেদিনীপুর কলেজ মাঠের সভা থেকে একথা জানালেন মমতা নিজেই।
মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা (Mamata Banerjee On Murshidabad)
সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে দেশের নানা অংশের পাশাপাশি এ রাজ্যেরও বিভিন্ন প্রান্তে দেখা গিয়েছে বিক্ষোভ। বিক্ষোভ হয়েছে মুর্শিদাবাদ ও মালদহ জেলার বেশ কিছু এলাকায়। কিছু ক্ষেত্রে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়েছে যে, মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকটি এলাকায় সংঘর্ষে প্রাণহানিও ঘটেছে। অশান্তি ছড়িয়েছে সুতি, জঙ্গিপুর, শমসেরগঞ্জ এবং ফরাক্কায়। আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। অশান্তির কারণে অনেকে ঘরছাড়াও। যদিও পুলিশ-প্রশাসন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি বর্তমানে অনেকটাই স্বাভাবিক! সেই আবহেই গত বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমাম-মোয়াজ্জিমদের সঙ্গে বৈঠকে গিয়ে এই অশান্তি নিয়ে মুখ খোলেন মমতা (Mamata Banerjee On Murshidabad)। তিনি বলেন, ‘‘অশান্তির ঘটনায় দুই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’’
‘সবটা ফাঁস করে দেব আমরা’ (Mamata Banerjee On Murshidabad)
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মুর্শিদাবাদে যে দাঙ্গা হয়েছে, সেটা দুঃখজনক। আমরা কেউ দাঙ্গা চাই না। ধূলিয়ানের দুটো ওয়ার্ডে হয়েছে। সেটাও বহিরাগতরা স্থানীয় কিছু লোককে সঙ্গে নিয়ে করেছে (Mamata Banerjee On Murshidabad)। কীভাবে করেছেন, সবটা ফাঁস করে দেব আমরা। কিন্তু মারা গিয়েছেন যাঁরা, তাঁদের পরিবারকে কথা দিয়েছি ১০ লক্ষ টাকা করে দেব। তাঁদের বাচ্চাদের পড়াশোনার দায়িত্ব এমপি-রা নিয়েছেন। প্রয়োজনে রাজ্য সরকারও নিতে পারে। যাঁদের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে, তাঁদের বাংলার বাড়ি হবে। দোকানদারদের যা ক্ষতি হয়েছে, আমরা সার্ভে করছি। আমি মে মাসের প্রথম সপ্তাহে যাচ্ছি, তখন গিয়ে দেখে বাদবাকিটা করে দিয়ে আসব।”
জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের পর রওনা
মঙ্গলবার দুপুর ১২টা নাগাদ মেদিনীপুর কলেজ মাঠে প্রশাসনিক সভায় পৌঁছোন মমতা। এই সভা থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ে পূর্ব ভারতের সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। বিরোধীদের তরফ থেকে বারবার এই প্রশ্ন উঠছিল, এতটা হিংসা বিধ্বস্ত হওয়া পর, এতগুলো পরিবার ঘরছাড়া হওয়ার পরও কেন সেখানে যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী? ওই সভায় ভাষণ দিতে উঠে নানা প্রসঙ্গের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির প্রসঙ্গও টানেন মমতা। জানান, দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের পর মে মাসের শুরুতেই মুর্শিদাবাদে যাবেন তিনি।