ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভিনরাজ্যে বাঙালিদের উপর হেনস্থা এবং (Mamata Banerjee) বাংলা ভাষার প্রতি অবমাননার অভিযোগ ঘিরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসে ভাষা সুরক্ষার প্রশ্নে ফের মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, বাংলার উপর চাপিয়ে দেওয়া ভাষা সন্ত্রাস কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
বাংলা ভাষার অসম্মানে বিশ্বকবিকে স্মরণ (Mamata Banerjee)
রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণ দিবসে মুখ্যমন্ত্রী এক্স (সাবেক টুইটার)-এ লেখেন (Mamata Banerjee) , “রবীন্দ্রনাথ আমাদের চেতনায়, সাহসে, সংস্কৃতিতে, সর্বত্র বিরাজমান। আজ যখন বাংলা ভাষা বলার জন্য বাঙালিদের অপমান ও নিগ্রহের শিকার হতে হচ্ছে, তখন রবীন্দ্রনাথের আদর্শই আমাদের লড়াইয়ের পথ দেখায়।” মুখ্যমন্ত্রীর মতে, ভাষার বিরুদ্ধে এই হামলা শুধু বাঙালিদের নয়, গোটা ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক ঐক্যের উপর আঘাত। তিনি আরও জানান, শান্তিনিকেতন থেকেই এই ‘ভাষা সন্ত্রাস’ বিরোধী আন্দোলনের সূচনা করেছেন তিনি। এদিন ঝাড়গ্রামে আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানের আগেও এই বার্তা দিয়েছেন তিনি। তিনি সাফ জানিয়েছেন বাংলার প্রতি অবজ্ঞা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

দিল্লি পুলিশের চিঠিতে ‘বাংলা’-কে ‘বাংলাদেশি ভাষা’ তকমা (Mamata Banerjee)
সম্প্রতি দিল্লি পুলিশের একটি চিঠিকে ঘিরে নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধে (Mamata Banerjee)। সেখানে বাংলা ভাষায় লেখা কিছু নথি অনুবাদ করার জন্য অনুবাদক খোঁজার প্রসঙ্গে বাংলা ভাষাকে উল্লেখ করা হয় ‘বাংলাদেশি ভাষা’ হিসেবে। দিল্লি পুলিশ জানায়, তারা কিছু বাংলাদেশি সন্দেহভাজনকে আটক করেছে, যাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া নথিগুলি বাংলা ভাষায়। এই চিঠির একটি কপি এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এই ধরনের মন্তব্য বাংলা ভাষা ও ভারতীয় সংবিধানকে অপমান করার শামিল। সেই ভাষার প্রতি অবজ্ঞা গোটা বাঙালি জাতির অসম্মান।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: দিল্লিতে রওনা দিলেন অভিষেক, বিরোধী বৈঠকে থাকবে কোন কোন ইস্যু?
রাজ্যজুড়ে ভাষা সুরক্ষার আন্দোলন
এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, ২৭ জুলাই থেকে রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে শুরু হয়েছে ‘ভাষা সুরক্ষা’ আন্দোলন। কলকাতা থেকে বোলপুর, গ্রাম থেকে শহর-সর্বত্র শুরু হয়েছে মিছিল ও ধর্না। মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজে হাঁটছেন আন্দোলনের প্রথম সারিতে, শান্তিনিকেতনের মাটি থেকেই সূচনা হয়েছে এই কর্মসূচির। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন মানুষ। আজও সেই লড়াই চলবে, যতক্ষণ না বাংলা ভাষার প্রাপ্য সম্মান ফিরে আসে।”