ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আলাদা হল না যোগ্য-অযোগ্য। এক লহমায় বাতিল ২৬ হাজার চাকরি। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখলো সুপ্রিম কোর্টও। সুপ্রিম নির্দেশের পরই আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সিপিএমের বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে(Bikash Ranjan Bhattacharya) তীব্র কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে নিশানা মমতার(Mamata Banerjee)
২০১৬ এসএসসি-র শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় অযোগ্যদের চাকরি বাতিলের দাবিতে আদালতে সওয়াল করেছিলেন বিকাশবাবু। ওই মামলায় গত বছর পুরো প্যানেলটাই বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টও হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে কটাক্ষের সুরে সওয়াল করলেন, “বিকাশবাবু পৃথিবীর বৃহত্তম আইনজীবী। তাঁকে নোবেল দেওয়া উচিত। আমি তার জন্য রেকমেনডেশন পাঠাব।”
চাকরিহারাদের ভবিষ্যৎ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ(Mamata Banerjee)
এই মামলার ক্ষেত্রে বিচার ব্যবস্থার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে তিনি জানান, তিনি এই রায় মেনে নিতে পারেননি। যাঁদের চাকরি গেল, তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। আর সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই মমতা(Mamata Banerjee)বলেন, “আমি অবাক হয়ে যাই, এখানে কেসটা করেছিলেন কে? বিকাশবাবু। তিনি তো পৃথিবীর সবথেকে বৃহত্তম আইনজীবী। তিনি কেন এখনও নোবেল প্রাইজ় পাচ্ছেন না জানি না। পাওয়া উচিত। ভাবছি একটা রেকমেনডেশন করব।”
আরও পড়ুন: SSC 2016 Panel Cancel: একই স্কুলের একসাথে চাকরি গেল ৩৬ জন শিক্ষকের, সমস্যায় স্কুল কর্তৃপক্ষ
২৬ হাজার চাকরি বাতিলে বিজেপিকে কটাক্ষ মমতার
বিজেপিকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, “এতগুলো মানুষের চাকরি যাওয়ার পর বিজেপির মন্ত্রী সুকান্তবাবু বলছেন, অযোগ্যদের জন্য যোগ্যদের চাকরি গিয়েছে, এর জন্য আমি নাকি দায়ী! তো যখন আপনারা প্রথম কেস করলেন, তখন একবারও ভাবলেন না কারা যোগ্য আর কারা অযোগ্য? সেটা তো সরকারকে ভাবতেও দিলেন না। আপানারা নিজে যোগ্য তো? সব সময়ে বাংলাকে কেন টার্গেট করা হবে? আমার তো এখনও এক লক্ষ পদ ফাঁকা রয়েছে। শুধু এই কেসটার জন্য আমরা করতে পারছিলাম না। যেহেতু এটা বিচারাধীন ছিল। আগে এর উত্তর সামনে আসুক।”
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ন্যায্য ভাবে বঞ্চিতদের পাশে আছি, এবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী!
মুখ্যমন্ত্রীর মুখে চিরকূটে চাকরি প্রসঙ্গ
মুখ্যমন্ত্রী এদিনও চিরকূটে চাকরি প্রসঙ্গ তুলে সিপিএম-কে বিঁধলেন।এসএসসি দুর্নীতি মামলা নিয়ে শোরগোলের আবহে সিপিএমের লোকাল কমিটির প্যাডের কাগজে লেখা চাকরির ‘সুপারিশপত্র’ নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। শাসকদল এই বিষয়টাকে ইস্যু করে। পাশাপাশি ২০০৭ সালের একটি চিরকূটে নাম জড়ায় তৎকালীন সাংসদ তথা সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর নামও। এদিন সেই চিরকূট প্রসঙ্গ আবারও তোলেন মমতা।