ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বেড়ে চলা উত্তেজনার পারদ প্রশমনে এবার সরাসরি হস্তক্ষেপ করল আমেরিকা (Marco Rubio On Pahalgam)। মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো গভীর রাতে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। আলোচনায় পহেলগাঁও হামলার তীব্র নিন্দা ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী লড়াইয়ে ভারতের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। পাশাপাশি ভারতকে আহ্বান জানানো হয়, যেন পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা না বাড়িয়ে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছনোর চেষ্টা করে।
ভারতের পাশে ওয়াশিংটন (Marco Rubio On Pahalgam)
মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “পহেলগাঁওয়ে যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তার জন্য আমেরিকা শোকপ্রকাশ করছে (Marco Rubio On Pahalgam)। এই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ভারতের পাশে থাকবে ওয়াশিংটন।” তিনি আরও বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভারত যেন নেতৃত্ব দেয় এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সংলাপে বসে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করে।”
যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কা (Marco Rubio On Pahalgam)
এই হস্তক্ষেপ এমন এক সময়ে এল, যখন দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্পর্ক প্রায় তলানিতে ঠেকেছে (Marco Rubio On Pahalgam)। ভারত সরকার কড়া পদক্ষেপ নিয়ে পাকিস্তানি নাগরিকদের ফেরত পাঠানো শুরু করেছে, বাতিল করেছে একাধিক ভিসা। অন্যদিকে পাকিস্তানও তার আকাশসীমা নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। দুই দেশের সীমান্তে গুলিবর্ষণ এবং যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কায় আন্তর্জাতিক মহল উদ্বিগ্ন (Marco Rubio On Pahalgam)।এই অবস্থায় আমেরিকার এই সংলাপচেষ্টা কূটনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন প্রথম থেকেই চেয়েছিল, ভারত ও পাকিস্তান নিজেরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করুক। কিন্তু তাতে ফল না আসায় এবার সরাসরি উদ্যোগী হয়েছেন বিদেশসচিব রুবিয়ো(Secretary Marco Rubio)।

আরও পড়ুন: India Close Airspace : পহেলগাঁও হামলায় আরও কড়া পদক্ষেপ! পাক বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করল ভারত
কুয়েত ভারতের পাশে (Marco Rubio On Pahalgam)
এছাড়া, সৌদি আরবও দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে (Marco Rubio On Pahalgam)। অন্যদিকে, কুয়েত ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে, যার জন্য কুয়েত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জয়শঙ্কর (Dr. S. Jaishankar)। এই পরিপ্রেক্ষিতে বোঝা যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক মঞ্চেও এই উত্তেজনা গুরুত্ব পাচ্ছে।তবে বিতর্কও কম নয়। কয়েক দিন আগে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ আমেরিকার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তাঁর দাবি, “গত তিন দশক ধরে আমেরিকা ও অন্যান্য পশ্চিমি দেশগুলি জঙ্গিদের প্রশ্রয় দিয়ে এসেছে।” এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হলেও মার্কিন দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বিষয়টি এড়িয়ে যান। বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তান আমেরিকার সাহায্য না পাওয়ায় অসন্তুষ্ট এবং ভারত-মার্কিন ঘনিষ্ঠতা তাদের চাপে ফেলেছে।

আরও পড়ুন: Pak National Died : ভারত ছাড়তে বাধ্য পাক নাগরিকের ফেরার পথে মৃত্যু! আগেই শেষ হয়েছিল ভিসার মেয়াদ
শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা (Marco Rubio On Pahalgam)
সার্বিকভাবে এই পরিস্থিতি এক চরম উত্তেজনাপূর্ণ সময়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে। কিন্তু আমেরিকা-সহ অন্যান্য দেশগুলোর সক্রিয় হস্তক্ষেপ কিছুটা হলেও শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ তৈরি করতে পারে। তবে সেই শান্তি কতটা দীর্ঘস্থায়ী হবে, তা নির্ভর করছে দুই দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সিদ্ধান্তের উপর।