ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বড়বাজারের মেছুয়াবাজারের ফলপট্টির একটি হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ১১ জন পুরুষ, এক মহিলা ও দুই শিশু। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে কলকাতা পুলিশ গঠন করেছে বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। পুলিশ সূত্রে খবর, DC সেন্ট্রাল-এর নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি দল তদন্তে নেমেছে।
শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর (Massive Fire at kolkata)
ঘটনার পরদিন, অক্ষয়তৃতীয়ায় দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনে উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেন এবং জানান, হোটেলের ভিতরে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকার ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সব মিলিয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে (Massive Fire at kolkata)। পুলিশ ও দমকলের তৎপরতায় ৯৯ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। স্থানীয়রাও উদ্ধারকাজে সাহায্য করেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানাই।”

মঙ্গলবার রাত থেকেই তিনি পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছিলেন, এবং বুধবার সকালেই প্রকাশ্যে আনেন নিজের প্রতিক্রিয়া। এই ঘটনায় মৃতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, “এই দুঃসময়ে আমরা মৃতদের পরিবারের পাশে আছি।”
শুভেন্দুর তোপ (Massive Fire at kolkata)
ঘটনায় রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়াও জোরদার হয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে বলেন, “যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকার কারণেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসনের গাফিলতি ছিল। ঘটনা ঘটার পরও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।” এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্টে শুভেন্দু অভিযোগ করেন, “এই ঘটনা ঘটেছে, কারণ গোটা প্রশাসন এবং রাজ্য সরকার তিন দিনের ছুটি কাটাতে দিঘায় চলে গিয়েছে।”
আরও পড়ুন: SIT Investigation: কী ভাবে আগুন লাগল? অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির পর সিট গঠন পুলিশের
মৃত্যু মিছিলের দায় কার? (Massive Fire at kolkata)
এই ঘটনার জেরে হোটেল ও পুরসভা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ছিল কি অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা? কেন এত সংখ্যক মানুষ আটকে পড়লেন একটি হোটেলে, যেখানে একটিমাত্র সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা সম্ভব? SIT সেই সব দিকই খতিয়ে দেখছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইতিমধ্যেই হোটেলের মালিক ও ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, ফরেন্সিক দল ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছে। আগামী দিনে দাহ্য পদার্থ কী ছিল, তা স্পষ্ট হবে তদন্তেই।