ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রাতের শহরে ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Massive Fire)। শুক্রবার গভীর রাতে উত্তর কলকাতার (Kolkata Fire) নিমতলা ঘাটের কাছে কাঠের গুদামে বিধ্বংসী আগুন লাগে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়ি। দমকলের ২১টি ইঞ্জিনের দীর্ঘ চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দুর্ঘটনায় কারও প্রাণহানি না হলেও, প্রায় ১৭টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে।
জানা গিয়েছে, রাত দেড়টা নাগাদ মহর্ষি দেবেন্দ্র রোডের ধারে কাঠের গোলায় আগুন (Massive Fire) লাগে। একাধিক গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, দাবি স্থানীয়দের। দমকলে খবর দেওয়া হলে প্রথমে চারটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু ঘটনাস্থলে বহু দাহ্য বস্তু থাকায় আগুন ছড়াতে থাকে। পাশাপাশি গঙ্গার হাওয়ায় আগুন ছড়াতে সাহায্য করে। ফলে ইঞ্জিন সংখ্যা বাড়াতে হয়। দমকলের ২১টি ইঞ্জিনের প্রায় ৭ ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল ৮টা ৪০ মিনিট নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন: ‘এখনই দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন নয়’, রাম মন্দির ইস্যুতে ঘুরিয়ে বিজেপিকে খোঁচা মুখ্যমন্ত্রীর
আরও পড়ুন: Hooghly News: কাউন্সিলর প্যাডে কার্তিক ফেলার খরচ চেয়ে চিঠি, বিতর্কে বৈদ্যবাটি পুরসভা
ঘটনাস্থলে দুই মন্ত্রী
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে রাতেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Basu)। রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক শশী পাঁজাও (Shashi Panja) সকালে ছিলেন দুর্ঘটনাস্থলে। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মন্ত্রী। শশী পাঁজা জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। আপাতত অস্থায়ীভাবে কমিউনিটি হল ব্যবহার করে পুনর্বাসন দেবে সরকার। পরে স্থায়ী ব্যবস্থা করারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: তৃণমূল মুক্ত বাংলার গড়ার ডাক, শাসক দলকে তুলোধনা রাহুল সিন্হার
দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন, ‘দমকল নিয়ন্ত্রণ করায় আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারেনি খুব বেশি। কীভাবে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখা হবে।’ তাঁর আরও দাবি, আগুন নেভাতে গিয়েও ওই হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে দমকলকর্মীদের। মন্ত্রী বলেন, ‘এরপর আমি আইনি পথে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেব। কর্মরত অবস্থায় আমার কর্মীদের আঘাত করলে আমি মেনে নেব না।’ দমকলের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মীরাও দুর্ঘটনাস্থলে ছিলেন। প্রথমে একটি কাঠের গুদামে আগুন লাগলেও, দ্রুত তা আশপাশের অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছিল। পাশাপাশি গঙ্গার হাওয়ার জন্যও আগুন (Massive Fire) পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছিল দমকলকর্মীদের।