ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে আন্তর্জাতিক মহলে এক অশান্ত এবং উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে (Military Support for Ukraine)। যুদ্ধের শুরু থেকেই আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলি ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ালেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিবর্তন এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) যখন ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য থেকে পিছিয়ে আসার ঘোষণা দেন, তখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিজেদের কাঁধে দায়িত্ব তুলে নেয়।
২১০০ কোটি ইউরো সামরিক সাহায্য (Military Support for Ukraine)
শুক্রবার রাতে ‘ইউক্রেন ডিফেন্স কনটাক্ট গ্রুপ’-এর বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনকে ২১০০ কোটি ইউরো (প্রায় ২৪০০ কোটি ডলার বা দু’লক্ষ ছ’হাজার কোটি টাকা) মূল্যের সামরিক সাহায্য দেওয়া হবে। রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতিরোধশক্তি বজায় রাখার জন্য এই অর্থে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করা হবে।
ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য বন্ধ (Military Support for Ukraine)
এই গোষ্ঠীটি ২০২২ সালে আমেরিকার নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল, যেখানে প্রায় ৫০টি দেশ সদস্য ছিল (Military Support for Ukraine)। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তেজনার জেরে ট্রাম্প প্রশাসন এই গোষ্ঠী থেকে কার্যত নিজেদের গুটিয়ে নেয়। ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির (Volodymyr Zelenskyy) মধ্যে ওভাল অফিসে ২৮ ফেব্রুয়ারি হওয়া বৈঠকও ব্যর্থ হয়, যার পরই ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য বন্ধের ঘোষণা করা হয়।

আরও পড়ুন: Tahawwur Rana : ২৬/১১ মামলায় তাহাউর রানা জেরায় গোপন সাক্ষী এনআইএ-র তুরুপের তাস?
জন হিলি ঘোষণা (Military Support for Ukraine)
এই পরিস্থিতিতে ইউরোপের দেশগুলি নতুন করে সক্রিয় ভূমিকা নেয় (Military Support for Ukraine)। ইউক্রেন ডিফেন্স কনটাক্ট গ্রুপের নেতৃত্ব নেয় ব্রিটেন, এবং শুক্রবারের বৈঠকে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জন হিলি ঘোষণা করেন, “২১ বিলিয়ন ইউরোর সামরিক সহায়তা ইউক্রেনের পক্ষে একটি নতুন রেকর্ড।” ব্রিটেন একাই এই বছরের জন্য সাড়ে চার বিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৪৪ হাজার কোটি টাকা) সামরিক সাহায্যের অঙ্গীকার করেছে, যা এখনও পর্যন্ত তাদের সর্বোচ্চ অনুদান।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তা (Military Support for Ukraine)
এর আগে মার্চ মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (Military Support for Ukraine) ২৭টি সদস্যরাষ্ট্র যৌথভাবে জানায়, ইউরোপের নিরাপত্তা জোরদার এবং ইউক্রেনকে সহায়তা করতে তারা ১৫ হাজার কোটি ইউরো ঋণ নেবে। সেই অর্থের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ব্যয় হবে ইউক্রেনের সামরিক চাহিদা পূরণে।শুধু ইইউ নয়, নেটো-র পক্ষ থেকেও এই সহায়তার প্রতি সমর্থন জানানো হয়েছে। শুক্রবারের বৈঠকে নেটোর মহাসচিব মার্ক রট্টে স্পষ্ট বলেন, ইউক্রেনকে নিরবচ্ছিন্ন সামরিক সহায়তা দেওয়া হবে এবং এই যুদ্ধ যতদিন চলবে, ইউক্রেনকে একা ফেলা হবে না।

ইউরোপ এখন ইউক্রেনের রক্ষাকবচ (Military Support for Ukraine)
এই সামগ্রিক পরিপ্রেক্ষিতে স্পষ্ট, আমেরিকা পিছু হটলেও ইউরোপ এখন ইউক্রেনের প্রধান রক্ষাকবচ হয়ে উঠছে। সামরিক সাহায্য ছাড়াও ইউরোপ ইউক্রেনের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষায়ও আগ্রহী। তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এই ঘোষণার পর কী প্রতিক্রিয়া আসে, সে দিকেও এখন কড়া নজর রাখছে আন্তর্জাতিক মহল।