ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল হাসপাতালে। শববাহী গাড়িতে মৃতদেহ তোলার পরেই
মাঝ রাস্তায় গায়েব শববাহী গাড়ি (Missing Hearse)! প্রায় তিন ঘন্টা অতিক্রান্ত। তখন মেলেনি খোঁজ। স্বজন হারার শোক ভুলে কপালে নতুন চিন্তার ভাঁজ। কারণ তখন অঙ্গ পাচারের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন পরিজনরা। শনিবারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় রায়গঞ্জ (Raiganj) মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।
মৃতদেহ পাচার বা অঙ্গ পাচারের আশঙ্কা (Missing Hearse)
জানা গিয়েছে, ইটাহার (Itahar) থানার হাসূয়া এলাকার বাসিন্দা মৌসুমী সরকারের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শনিবার পুলিশ একটি গাড়ি করে মৃতদেহ রায়গঞ্জ মেডিকেলের (Raiganj) উদ্দেশ্যে পাঠায়। গাড়িতে মৃতের একজন আত্মীয়ও ছিলেন। অভিযোগ, হাসপাতালে আসার আগে মাঝ রাস্তা থেকে গায়েব হয়ে যায় শববাহী গাড়ি (Missing Hearse)। রাস্তাতেই নামিয়ে দেওয়া হয় মৌসুমী দেবীর আত্মীয়কে। বাড়ির সদস্যদের আশঙ্কা মৃতদেহ পাচার বা অঙ্গ পাচারের উদ্দেশ্যে দেহ নিয়ে চম্পট দিয়েছিলেন চালক।
তিনঘন্টা গায়েব শববাহী গাড়ি! (Missing Hearse)
এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মৃতার পরিবারের লোকেরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে গেলেও আর চালকের দেখা মেলেনি। মেলেনি খোঁজ। প্রায় তিনঘন্টা পর মৃতদেহ নিয়ে মর্গে আসে গাড়ি (Missing Hearse)। এদিকে গাড়ি ফিরতেই প্রকাশ্যে গাড়ির চালকের উপর চড়াও হয় মৃতার পরিজনেরা। চালকে ধরে চলে উত্তম মধ্যম।
আরও পড়ুন: Hooghly News: গাছ চিনতে QR Code! এক ক্লিকেই ইতিহাস
সাফাই গাড়ি চালকের
এই বিষয়ে গাড়ি চালক মিঠুন হাজরার দাবি, ‘করণদীঘিতে অন্য একটি মৃতদেহ আনার কল এলে গাড়ির মালিক তাঁকে করণদিঘি যেতে বলেন। ওখান থেকে আরও একটি দেহ তুলে হাসপাতালে আসার কথা বলেন। সেই কারণে ইটাহার থেকে করণদীঘি যাই। ওখান থেকে দেহ তুলে দুটো দেহ নিয়ে মর্গে আসি’।
আরও পড়ুন: Bengal Safari Park: মায়ের অসাবধানতায় ৩ রয়্যাল শাবকের মৃত্যু বেঙ্গল সাফারি পার্কে!
অভিযোগ পরিবারের
গোটা ঘটনায় মৃতার পরিবার মৌখিকভাবে অভিযোগ জানান রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজের সহকারী সুপার শৌনক কুমার ঘোষের কাছে। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা
এদিকে এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে। কেন মর্গে দেহ না পৌঁছে মৃতদেহ নিয়ে অন্যত্র চলে গেলো গাড়ি? সে সময় কি করছিলো পুলিশ? ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ মর্গ পর্যন্ত দেহ পুলিশি নজরদারিতে স্থানান্তরিত করা নিয়ম। কিন্তু, এ ক্ষেত্রে কেন তা হল না সেই প্রশ্ন ঘুরছে। তবে এই বিষয় নিয়ে কোন জবাব দিতে নারাজ পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তারা।