ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ‘মিত্তির বাড়ি’তে (Mittir Bari) এখন চলছে মহাবিবাহ সপ্তাহ। এবার জোনাকি (Jonaki) পাকাপাকি ভাবে মিত্তির বাড়িতে থাকতে চলেছে। তাও আবার আশ্রিতা হিসেবে নয়। বরং বাড়ির বউ হিসেবে। এমনটাই বলছেন এই ধারাবাহিকের অনুরাগীরা।
পর পর ক্লাইম্যাক্স (Mittir Bari)
আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধামাকাদার একের পর এক ক্লাইম্যাক্স আসতে চলেছে এই ধারাবাহিকে। যারা মিত্তির বাড়ি (Mittir Bari) ধারাবাহিকের অনুরাগী, প্রতিনিয়ত নতুন কিছু দেখার জন্য অপেক্ষা করেন, তাদের কাছে নিঃসন্দেহে এই খবর অত্যন্ত খুশির। তাছাড়া এই ধারাবাহিকে জোনাকি এবং ধ্রুব মুখ্য ভূমিকায় রয়েছে। তাদের টক ঝাল মিষ্টি সম্পর্ক কবে পরিণতি পাবে? এই প্রশ্ন অনেকদিন ধরেই ঘুরছিল অনুরাগীদের মনে। সেই প্রশ্নের উত্তর মিলবে খুব শীঘ্রই।
জোনাকিকে কাছে রাখতে চান ঠাম্মি (Mittir Bari)
মিত্তির বাড়িতে (Mittir Bari), পাকাপাকি ভাবে জোনাকিকে রাখার জন্য উদগ্রীব ঠাম্মি। তাই তিনি জোনাকিকে কনের সাথে নিয়ে আসে ধ্রুবর সামনে। কিন্তু ধ্রুব জোনাকিকে বিয়ে করতে চায় না। জোনাকির প্রতি তার মনে মনে দুর্বলতা আছে ঠিকই। কিন্তু সেই দুর্বলতা এখনও ধ্রুব বুঝে উঠতে পারেনি। এই মুহূর্তে ধ্রুব জোনাকিকে বিয়ে করতে একেবারেই প্রস্তুত নয়। ধ্রুবর সম্মতি না পেয়ে বিখ্যাত হরগৌরী মেলায় ঠাকুরের থানে জোনাকিকে নিয়ে যান ঠাম্মি। তার জেদের সামনে পড়ে কিছুটা দিশেহারা জোনাকি আর ধ্রুব। এবার প্রশ্ন হল, ঠাম্মির সিদ্ধান্তে সম্মতি দিয়ে কি জোনাকির দায়িত্ব ধ্রুব নেবে? অপরদিকে জোনাকি কি পারবে, নিজের সত্যিটা ধ্রুবকে জানাতে?
আরও পড়ুন: Salman Khan: জন্মদিনের আগেই অস্ত্র হাতে সলমন! পাত্তা দিচ্ছেন না প্রাণনাশের হুমকি
কিছু সম্পর্ক ঠিক করে দেন ঈশ্বর
আগামী ৩০শে ডিসেম্বর পর্যন্ত, এই প্রশ্নের উত্তর গুলোই আসতে চলেছে। তাছাড়া কিছু সম্পর্ক কিংবা দুটো মানুষের এক হওয়া ঠিক করে দেন স্বয়ং ঈশ্বর। সেই বিষয়টাও দেখতে পাবেন এই ধারাবাহিকে। মিত্তির বাড়ির শিকড় জুড়ে রাখতেই কি ঈশ্বরের ইচ্ছায় এবার এক হতে চলেছে ধ্রুব আর জোনাকি? কেমন হবে তাদের বিবাহিত জীবন? মহাবিবাহ সপ্তাহে একের পর এক ক্লাইম্যাক্স। ঠাম্মির কথায়, ঠাকুর যখন চান, মিত্তির বাড়িতে জোনাকির ঠাঁই হবে না। তাহলে ঠাকুরকেই বলে দিতে হবে, জোনাকি কোথায় যাবে? পুরো বিষয়টা ছেড়ে দিয়েছেন ঈশ্বরের উপর। ঠাম্মি মন্দিরের ঘন্টা বাজাতেই সেই আওয়াজ ধ্রুবর কানে যায়।
আরও পড়ুন: Rukmini Maitra: “পরখ করবেন আমাকে?” বলেন রুক্মিণী! বিনোদিনীর মুক্তি কবে?
দিশেহারা ধ্রুব
দিশেহারা ধ্রুব। কি করবে বুঝতে পারছে না। জোনাকিও কিন্তু এই বিয়েতে রাজি নয়। সে ঠাম্মিকে অর্থাৎ দিদাকে বোঝাতে থাকে, তাদের সমাজ আর ধ্রুবদের সমাজ একেবারেই আলাদা। অর্থাৎ দুই পরিবারের স্ট্যাটাস মেলে না। সেক্ষেত্রে তাদের বিয়ে তো প্রায় অসম্ভব একটা ঘটনা। এমনটাই মনে করছে জোনাকি। কিন্তু জোনাকির দিদা অপরদিকে ধ্রুবর ঠাম্মির বক্তব্য, যা হবে ঈশ্বরের হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত। তিনি ঈশ্বরের উপর ভরসা রাখেন। জোনাকিকে তিনি কখনই কাছছাড়া করতে পারবেন না। জোনাকিকে তার সাথেই রেখে দেবেন। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে প্রোমোপ্রকাশ এসেছে । যেখানে বিয়ের সাজে দেখা গিয়েছে জোনাকিকে। এবার শুধু বিয়ে হওয়ার পালা। কিন্তু সত্যি কি বিয়ে হবে, এই প্রশ্নের উত্তর রয়েছে আগামী পর্বে।