ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ইন্দুবালা ভাতের হোটেলে কিশোরী ইন্দুর চরিত্রে দর্শকদের নজর কেড়েছিলেন পারিজাত (Mittir Bari)। তাঁর মিষ্টি অভিনয় বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছিল দর্শক মনে। বড় পর্দার পাশাপাশি ছোট পর্দা, দুই পর্দাতেই তিনি একসঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করছেন। যেখানে ধারাবাহিক মানেই দীর্ঘ সময় ধরে কাজের যুক্ত থাকার বিষয়। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে, দুই দিক কীভাবে সামলাচ্ছেন পারিজাত? একদিকে ‘মিত্তির বাড়ি’র (Mittir Bari) শুটিং, তো অপরদিকে বড় পর্দার কাজ। কতটা নাজেহাল হচ্ছেন? সে কথাই শেয়ার করলেন ট্রাইব টিভির সঙ্গে।
ব্যস্ততায় কাটছে সময় (Mittir Bari)
এই মুহূর্তে পর্দার জোনাকি অর্থাৎ পারিজাত চৌধুরি (Parijat Chaudhuri) ভীষণ ব্যস্ত। একদিকে শুটিংয়ের কাজ তো অপরদিকে পড়াশোনা। প্রায় ১৪ ঘন্টা শুটিংয়ের পর নিজের জন্য খুব কম সময়ই বেঁচে থাকে। তার উপর নতুন বছরে শুধু ধারাবাহিক নয়, পাশাপাশি বড় পর্দায় কাজ করতে চলেছেন ‘জোনাকি’ (Jonaki)। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ‘রাস’ ছবির শুটিং (Mittir Bari)। এছাড়াও আশা করছেন, তাঁর অভিনীত ‘হালুম’ ছবি খুব শীঘ্রই মুক্তি পাবে।
পরিবারের সাপোর্ট (Mittir Bari)
ছোট পর্দা আর বড় পর্দা, একসাথে সামলানো মুখের কথা নয়। সময় ম্যানেজ করতে একটু চাপের মধ্যেই আছেন। পারিজাত প্রথমে ভেবেছিলেন, তিনি দশভূজার মতো সময়টা ম্যানেজ করে ফেলবেন। কিন্তু পরে বুঝলেন, বিষয়টা অত সহজ নয়। বুঝতে পারেন, একটা বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। আরেকটু ভাবনা চিন্তা করলে ভালো করতেন। যদিও পারিজাত বাবা-মা দাদার থেকে ভীষণ সাপোর্ট পান। সব সব মিলিয়ে কাজটা তিনি করে ফেলেছেন। পরিবারের সাপোর্ট না থাকলে এটা তিনি করতে পারতেন না। এমনটাই জানিয়েছেন ট্রাইব টিভিকে।
আরও পড়ুন: Aparajita Adhya: হর হর মহাদেবের তালে নাচলেন অপরাজিতা, মহাকুম্ভে কী করলেন?
দর্শকদের ভালোবাসা
দর্শকদের থেকে পারিজাত প্রচুর ভালোবাসা পেয়েছেন। ‘মিত্তির বাড়ি’ যখন শুরু হয়, তখন আদৃতের বিপরীতে পারিজাতকে দেখে অনেকে ট্রোল করেছিলেন। আদৃত-সৌমিতৃষার জুটিকে দর্শক এখনও ভোলেনি। মিঠাইয়ের জুটির সঙ্গে অনেকে তুলনা করতে থাকেন আদৃত এবং পারিজাতের জুটিকে। যদিও আদৃত এবং পারিজাতের জুটিকেও দর্শক ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছে।

আরও পড়ুন: Srabanti Chatterjee: ছেলের প্রেমিকাকে বোন ভাবেন শ্রাবন্তী, দামিনীর সঙ্গে সম্পর্কের রসায়ন কেমন?
পারিজাতের পরিবারকে মিলিয়েছে ‘মিত্তির বাড়ি’
এরই মাঝে এমন কোনও বিষয় কি আছে? যা পারিজাতের ভীষণ ভালো লেগেছে? সেই সম্পর্কে তিনি ট্রাইব টিভিকে বলেন, “জোনাকি বিশ্বাস গল্পে দর্শকের মন জুড়েছে। কিন্তু মিত্তির বাড়ির সূত্রে আমি আমার নিজের কিছু সম্পর্ক জুড়তে পেরেছি। সেটা আমার মনে সারা জীবন থাকবে। অনেক সময় নানান সমস্যার কারণে পারিবারিক ভাবে বিচ্ছেদ তৈরি হয়। মিত্তির বাড়ির সূত্রে তারাই আবার আমার বাবাকে দাদাকে ফোন করছে। এটা একটা বড় প্রাপ্তি”।