Last Updated on [modified_date_only] by Debu Das
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ২০২৩ সালের জাতিগত সংঘর্ষের পর শনিবার প্রথমবার মণিপুর সফরে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Modi Manipur Visit)। সকালেই তিনি কুকি–জো সংখ্যাগরিষ্ঠ চুরাচাঁদপুরে গিয়ে ত্রাণশিবিরে থাকা বাস্তুচ্যুত মানুষদের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর ইম্ফলের ঐতিহাসিক কাংলা ফোর্টে জনসভা ও ১২০০ কোটি টাকার পরিকাঠামো প্রকল্প উদ্বোধনের কর্মসূচি ছিল তাঁর। কিন্তু তার আগেই কাংলা ফোর্টের অদূরে কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভে উত্তেজনা ছড়ায়।
কংগ্রেসের স্লোগান ও পুলিশের বাধা (Modi Manipur Visit)
কংগ্রেস ভবনের সামনে শতাধিক কর্মী প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ শুরু করেন(Modi Manipur Visit)। তাতে লেখা ছিল— “বিজেপি শাসনে পুড়ছে মণিপুর”, “বন্ধ হোক সাম্প্রদায়িক রাজনীতি”। বিক্ষোভকারীদের রুখতে পুলিশ তৎপর হয়। কংগ্রেস ভবনের ভিতরেই আটকে দেওয়া হয় কর্মীদের, যাতে তারা মিছিল করে কাংলা ফোর্টের দিকে এগোতে না পারেন। অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে নিরাপত্তা রক্ষীরা।
বিরোধীদের আক্রমণ, ‘ফার্স এবং টোকেনিজম’(Modi Manipur Visit)
মোদীর সফরকে বিরোধীরা ‘ফার্স’ এবং ‘টোকেনিজম’ বলে সমালোচনা করেছে(Modi Manipur Visit)। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে টুইট করে লেখেন, “৮৬৪ দিনের হিংসা: ৩০০ প্রাণহানি, ৬৭ হাজার বাস্তুচ্যুত, ১৫০০ জন আহত। এই সময়ে প্রধানমন্ত্রী ৪৬ বার বিদেশ সফরে গেছেন, কিন্তু নিজের নাগরিকদের সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য একবারও মণিপুর আসেননি। শেষবার কবে এসেছিলেন? জানুয়ারি ২০২২-এ, নির্বাচনের সময়!”
প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “তাঁর অনেক আগেই আসা উচিত ছিল। দুর্ভাগ্যজনক যে এত মানুষ মারা গেল, এত পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হল, অথচ প্রধানমন্ত্রী এতদিন পর এখানে এলেন।”

চুরাচাঁদপুরে মোদির বার্তা
চুরাচাঁদপুরে ত্রাণশিবিরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) বাস্তুচ্যুত মানুষদের সঙ্গে দেখা করেন এবং শান্তির আবেদন জানান(Modi Manipur Visit)। তিনি বলেন, “আমি সব সংগঠনকে শান্তির পথে এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি। আমি আপনাদের সঙ্গে আছি, সরকার মণিপুরের জনগণের পাশে আছে।”
আরও পড়ুন : Ind vs Pak Asia Cup : ক্রিকেট বনাম কূটনীতি! এশিয়া কাপে ভারত-পাক ম্যাচ ঘিরে বিতর্কের ঝড়
২০২৩ সালের ৩ মে থেকে শুরু হওয়া জাতিগত সংঘাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৬৭ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন(Modi Manipur Visit)। বারবার অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়ায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন. বিরেন সিং পদত্যাগ করেন এবং চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি রয়েছে।
সব মিলিয়ে, মোদীর সফর মণিপুরে শান্তি বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি নতুন করে রাজনৈতিক সংঘাতের আবহ তৈরি করেছে।