ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সোমবার যুবভারতী স্টেডিয়ামে জামশেদপুর এফসি বিরুদ্ধে আইএসএল সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে রুদ্ধশ্বার জয় তুলে নিয়ে টানা তৃতীয়বার ফাইনালে উঠেছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। যুবভারতীর গ্যালারিতে বসেই কামিংস, আপুইয়ার গোলে মোহনবাগানের ফাইনালে ওঠার মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছেন লখনৌ সুপার জায়ান্টের অধিনায়ক ঋষভ পন্থ ও কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার (KKR Match)।
লখনৌয়ের হয়ে গলা ফাটাতে ইডেনে মোহনবাগান ফুটবলাররা (KKR Match)
সোমবার বিকালে ইডেনে প্র্যাকটিস করেই সোজা যুবভারতীতে পৌঁছেছিলেন পন্থ, ল্যাঙ্গার। মোহনবাগানের জয় উপভোগ করার কথা ও ম্যাচ শেষে যুবভারতী থেকে বেরোনোর সময় জানিয়ে গিয়েছিলেন পন্থ। মঙ্গলবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের (KKR Match) বিরুদ্ধে লখনৌ সুপার জয়েন্টের হয়ে গলা ফাটাতে ইডেন গার্ডেন্সে হাজির হলেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের পাঁচ তারকা ফুটবলার দিমিত্রি পেত্রাতোস, গ্ৰেগ স্টুয়ার্ট, জেমি ম্যাকলারেন, অ্যালবার্টো রড্রিগেজ এবং দীপক টাঙ্গরি। হাতে লখনৌ সুপার জায়ান্টের পতাকা নিয়ে পন্থ, মার্শ, নিকোলাস পুরানদের হয়ে গলা ফাটালেন দিমি, জিমি, স্টুয়ার্ট, রড্রিগেজরা। সেইসঙ্গে উপভোগ করলেন ম্যাচ। তবে এর আগে সানরাইজার্স ম্যাচেও কেকেআরের ম্যাচ দেখতে ইডেনে এসেছিলেন মোহনবাগান ফুটবলাররা।
আরও পড়ুন: ISL Final: জামশেদপুরকে ‘টাটা’ করে টানা তৃতীয়বার আইএসএল ফাইনালে মোহনবাগান
রবিবার জামশেদপুরের বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল ম্যাচের প্রাক সাংবাদিক সম্মেলনেও লখনৌ সুপার জয়ান্টকে জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন ম্যাকলারেন (KKR Match)। সবুজ-মেরুনের অজি বিশ্বকাপার বলেছিলেন, ‘আইএসএল এ মোহনবাগান উপার্জন যেমন দুরন্ত ছন্দে রয়েছে তেমনি লখনৌ সুপার জায়ান্ট আইপিএলে দারুন পারফরমেন্স করবে এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স এর বিরুদ্ধে জিতবে। আমাদের দলের ডিরেক্টর সঞ্জীব গোয়েঙ্কার দল লখনৌ সুপার জায়ান্টকে আমরা জয়ের জন্য আগাম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এবং সাফল্য কামনা করছি।

মঙ্গলের দুপুরে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে লখনৌ সুপার জায়ান্টের বিরুদ্ধে নেমেছিল কেকেআর (KKR Match)। এদিন ইডেনে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেকেআর। দলে মইন আলির জায়গায় এসেছিলেন স্পেনসর জনসন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত একেবারেই কাজে লাগেনি নাইটদের। শেষ পর্যন্ত লড়াকু ব্যাটিংয়েও ইডেনে লখনউয়ের কাছে ৪ রানে হারতে হল নাইটদের।
ম্যাচের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট রাহানের আউট। বড় রান তাড়া করতে নেমে বেশ ভাল ব্যাট করছিলেন কেকেআর অধিনায়ক। দ্রুত রান তুলছিলেন। তাঁর ৩৫ বলে ৬১ রানের ইনিংস থামল শার্দূল ঠাকুরের একটি সাধারণ বলে। ক্রিকেটের পরিভাষায় যাকে বলে ‘সফট ডিসমিসেল’। তিনি আউট হওয়ার পর কলকাতার (KKR Match) ইনিংসের ছন্দ নষ্ট হয়। কমে যায় রান তোলার গতি।
ফের হারের সরণিতেই ফিরল শাহরুখ খানের দল। ইডেনে হারের পর পয়েন্ট তালিকায় এক ধাপ নেমে গেল কেকেআর। পাঁচ ম্যাচের পর অজিঙ্ক রাহানেরা আটকে থাকলেন ৪ পয়েন্টেই। কমল কলকাতার নেট রান রেটও।