Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গাড়িতে উঠলেই মাথা ঘোরে (Motion Sickness), গা গুলিয়ে ওঠে, বমি বমি ভাব হয়? পরিচিত এই সমস্যাটির নাম ‘মোশন সিকনেস’। সাধারণত বাস, গাড়ি বা ট্রেনে চড়ার সময় অনেকেরই এমন অনুভূতি হয়। এই সমস্যায় ওষুধ বা আদা-লবঙ্গের মতো ঘরোয়া পদ্ধতি কাজে এলেও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেগুলি সাময়িক স্বস্তি দেয়। তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে এক অভিনব ও কার্যকরী উপায়-সঙ্গীত।
মোশন সিকনেস হবে দূর (Motion Sickness)
চিনের হেনান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (Motion Sickness) গবেষকেরা জানিয়েছেন, মোশন সিকনেস দূর করতে পারে নির্দিষ্ট ধরনের গান বা সুর। অর্থাৎ, সঙ্গীত দিয়েই সম্ভব গাড়িতে ওঠার সময় হওয়া এই অস্বস্তি কমানো। একে বলা হচ্ছে একপ্রকার সঙ্গীত থেরাপি।
কোন গান কীভাবে প্রভাব ফেলছে (Motion Sickness)
এই গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন মোট ৩০ জন যাত্রী, যাঁদের সবারই মোশন (Motion Sickness) সিকনেসের সমস্যা ছিল। তাঁদের একটি বন্ধ গাড়িতে বসিয়ে শোনানো হয় বিভিন্ন ধরণের সুর। গবেষকেরা অংশগ্রহণকারীদের মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়া মাপার জন্য ব্যবহার করেন ‘ইলেক্ট্রোএনসেফ্যালোগ্রাফ’ ক্যাপ। এর মাধ্যমে জানা যায়, কোন গান কীভাবে প্রভাব ফেলছে মস্তিষ্কের ওপর।
গবেষণায় দেখা যায়…
গবেষণায় দেখা যায়, যাঁরা কোমল সুরের গান, বিশেষ করে রোম্যান্টিক গান শুনেছিলেন, তাঁদের অস্বস্তি অনেকটা কমে যায়। তাদের মাথা ঘোরা, গা গুলিয়ে ওঠা বা বমি বমি ভাব অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে। অন্যদিকে, যাঁরা দুঃখের গান শুনেছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রে বিশেষ কোনও উন্নতি দেখা যায়নি।
প্রোল্যাকটিন’ নামক হরমোন
গান শোনার সময় সক্রিয় হয়ে ওঠে মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস, যা আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে। প্রিয় সুর শোনালে সেই অংশ উদ্দীপিত হয় এবং শরীর-মন শান্ত হতে শুরু করে। এমনকি, স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমে গিয়ে বাড়ে ‘প্রোল্যাকটিন’ নামক হরমোন, যা ব্যথা এবং অস্বস্তি প্রশমনে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: Skin Care with Ice: বরফ ঘষলেই বাড়বে রূপ! সত্যি নাকি মিথ্যা?
গবেষকেরা বলছেন, এই প্রক্রিয়া অবশ্যই সবাইকে একরকম উপকার দেবে, এমন নয়। তবে মোশন সিকনেসের কারণে বারবার ওষুধ খাওয়ার বদলে গান শোনা একটি প্রাকৃতিক এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন উপায় হতে পারে। বাসে বা গাড়িতে উঠেই যদি আপনার ভয় বা অস্বস্তি হয়, তবে কানে হেডফোন গুঁজে দিন আপনার পছন্দের নরম সুরের গান। একটানা শুনতে থাকুন কয়েক মিনিট। দেখবেন, যাত্রাটা অনেকটাই স্বস্তিদায়ক লাগছে।