ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মধ্যপ্রদেশের রায়গড়ের নরসিংহগড় (MP Assault News) এলাকা থেকে এক মর্মান্তিক ঘটনা সামনে এসেছে। গত ১-২ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ১১ বছর বয়সি এক মূক ও বধির মেয়ে নিখোঁজ হয়। পরদিন সকালে বাড়ির কাছে একটি ঝোপের মধ্যে থেকে তার দেহ উদ্ধার করা হয়। মেয়েটির শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও এক সপ্তাহ লড়াইয়ের পর ৮ ফেব্রুয়ারি তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিশ চাঞ্চল্যকর তথ্য উন্মোচন করেছে।
তদন্তের পর প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য! (MP Assault News)
তদন্তে পুলিশ ৪৬টি স্থান থেকে ১৩৬টি সিসিটিভি (MP Assault News) ফুটেজ সংগ্রহ করে। ফুটেজে এক সন্দেহভাজনকে লাল শালে মুড়ি দিয়ে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। তার পায়ে ছিল নীল-কালো স্পোর্টস জুতো। ঝোপের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় তাকে। পরে তাকে রমেশ সিংহ নামে চিহ্নিত করা হয়।
অটোচালকের হাত ধরেই মিলেছে সন্ধান (MP Assault News)
রমেশের সন্ধানে পুলিশ এক অটো রিকশা (MP Assault News) চালকের সাক্ষাৎ পায়। চালক জানান, ঘটনার রাতে তিনি এক যাত্রীকে নরসিংহগড়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে রমেশের সন্ধান মিলছিল না। শেষ পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলায় তার সন্ধান মেলে। সেখানে পুণ্যস্নান করতে গিয়েছিল রমেশ। প্রয়াগরাজ থেকে জয়পুরগামী ট্রেনে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
চলছে ডিএনএ পরীক্ষা!
রমেশের গ্রেফতারের ঘটনায় ১৬টি পুলিশ টিম কাজ করেছিল। ন’টি থানার ৭৫ জন পুলিশকর্মী এই অভিযানে যুক্ত ছিলেন। রায়গড়ের এসপি আদিত্য মিশ্র জানান, ডিএনএ পরীক্ষা চলছে এবং রমেশের অন্যান্য অপরাধমূলক কার্যক্রম খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। রমেশ দাবরিপুরের পোলাইকালানের বাসিন্দা।
দেওয়া হয়েছিল মৃত্যুদণ্ড
২০০৩ সালে শাজাপুরের মুবারিকাপুর গ্রামে পাঁচ বছরের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে সে। সেবার ১০ বছরের সাজা হয় তার। ২০১৩ সালে জেল থেকে মুক্ত হয়ে ২০১৪ সালে সোহেরের আশতায় আট বছরের এক শিশুকন্যাকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে আবারও গ্রেফতার হয়। নিম্ন আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়, কিন্তু ২০১৯ সালে হাইকোর্ট প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে রায় খারিজ করে। ফলে রমেশ আবারও মুক্ত হয়ে যায় এবং এবারের ঘটনা ঘটায়।
কঠোর ব্যবস্থার আশ্বাস
এই ঘটনায় পুলিশ দ্রুত তদন্ত চালিয়ে রমেশকে গ্রেফতার করেছে এবং আইনি প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে, এই মামলায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং রমেশের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা হবে। এই ঘটনা শিশুদের সুরক্ষা ও অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা আরও একবার তুলে ধরেছে।