ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রবিবার আবারও এমএস ধোনি (MS Dhoni) তার প্রতিভা প্রদর্শন করেন যখন তিনি নূর আহমেদের ডেলিভারিতে মুহূর্তের মধ্যে বেল খুলে সূর্যকুমারকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান।
সুর্যকুমারকে বিদায় করে চমক দেখালেন ধোনি (MS Dhoni)
মহেন্দ্র সিং ধোনির (MS Dhoni) অসাধারণ স্টাম্পিং দক্ষতা ফের একবার সকলকে মুগ্ধ করল। রবিবার, আইপিএলের এক ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংস বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের লড়াইয়ে সুর্যকুমার যাদবকে আউট করলেন ধোনি।
৪৩ বছর বয়সী ধোনি এখন কেবল চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে পাঁচ বছর আগেই অবসর নিয়েছেন। তবে তার প্রতিভা যে এখনও অটুট, তা ফের প্রমাণ করলেন তিনি। নূর আহমদের বলে ধোনি মুহূর্তের মধ্যে স্টাম্প ভেঙে দেন, আর সুর্যকুমারকে ফিরে যেতে হয় প্যাভিলিয়নে।
ধোনির প্রশংসায় মাত হেডেন (MS Dhoni)
প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার এবং ধোনির (MS Dhoni) এক সময়ের চেন্নাই সুপার কিংস সতীর্থ ম্যাথিউ হেডেন বলেন, “ধোনি যেন জ্বলে উঠেছিলেন!”
এক অনুষ্ঠানে হেইডেন বলেন, “নূর আহমদ লেগ সাইডে বল করছিল, ধোনি একদম সঠিক সময়ে স্টান্স নিয়েছিলেন। ব্যাটসম্যানের পেছনে দাঁড়িয়ে এত দ্রুত বল বুঝে নেওয়া কঠিন কাজ। তবুও ধোনি এক নিমেষে স্টাম্পিং করলেন! অসাধারণ চোখ, দুর্দান্ত হাতের কাজ—এটাই ধোনি।”
আরও পড়ুন: Tamim Iqbal Heart Attack: ম্যাচের মাঝেই আক্রান্ত হৃদরোগে! সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি তামিম
এই স্টাম্পিংটি ম্যাচের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ছিল। সুর্যকুমার (২৯) তখন ৫১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু ধোনির এই দুর্দান্ত মুহূর্তের পর মুম্বই ১৫৫/৯ রানেই থেমে যায়। পরে চেন্নাই সুপার কিংস ৪ উইকেট হাতে রেখে এবং ৫ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয়।
নূর আহমদের প্রতিক্রিয়া
নূর আহমদ বলেন, “মাহি ভাই উইকেটের পিছনে থাকলে আত্মবিশ্বাস কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এটা আমার জন্য বিশাল ভরসার জায়গা।” স্টার স্পোর্টসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ধোনি মাত্র ০.১২ সেকেন্ডে এই স্টাম্পিংটি সম্পন্ন করেন।
আরও পড়ুন: Virat Kohli Fan Moment: বিরাটের জন্য সব করতে পারি…, পুলিশের কাছে বিস্ফোরক দাবি ধৃত বিরাট ভক্তের!
পীযূষ চাওলার মতামত
প্রাক্তন ভারতীয় স্পিনার এবং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস সতীর্থ পীযূষ চাওলা মনে করেন, ধোনি আগেই নূর আহমদের বোলিংয়ের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছিলেন। চাওলা বলেন, “কোনো নতুন বোলারের বল ধরে ফেলা কঠিন কাজ। তবে আমি নিশ্চিত, ধোনি অনুশীলন শিবিরে নূরের বল অনেকবার ধরেছেন। নতুন কেউ এলে ধোনি তার সঙ্গে কিছুক্ষণ কিপিং করেন, যাতে বলের লাইন-লেংথ বুঝতে পারেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমার ক্ষেত্রে এটা হয়নি, কারণ আমি বহুবার ধোনির বিরুদ্ধে এবং তার সঙ্গে নেটে বল করেছি। কিন্তু নতুন কোনো রিস্ট স্পিনার এলে ধোনি অন্তত ১০-১২টি বল কিপিং করে তার বোলিং ধরার চেষ্টা করেন।” ধোনির এই বিদ্যুৎগতির স্টাম্পিং ফের একবার প্রমাণ করল, বয়স তার দক্ষতায় কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি!
