ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বন্ধুর সঙ্গে বচসা, পরিণতিতে মৃত্যু। রবিবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার বেহালা অঞ্চলের শখের বাজার এলাকায় খুন বন্ধুকে (Murder in Kolkata)। অভিযোগ, বন্ধুবান্ধবের মধ্যে বচসা ও মদ্যপানের আসর থেকে শুরু হওয়া উত্তেজনা গড়ায় প্রাণঘাতী হিংসায়। মৃতের নাম বাপি অধিকারী। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ গ্রেফতার করেছে এক যুবক ও তার বাবাকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাতভর বাপি অধিকারী ও তার আরও তিন বন্ধু একসঙ্গে মদ্যপান করছিলেন। রবিবার সকাল নাগাদ নেশার ঘোরে থাকা অবস্থায় তিন বন্ধু অপর এক যুবকের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। সেই যুবককে ঘিরে শুরু হয় ঠাট্টা, যার জেরে ওই যুবক চড়-থাপ্পর খান বলে অভিযোগ। অপমানিত হয়ে যুবকটি নিজের বাবাকে ফোন করেন। তারপরই পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে যায়।
আরও পড়ুন: TMC: মহিলাকে রাস্তার মাঝে লাথি-ঘুষি তৃণমূল নেতার, মহিলা নিগ্রহে অস্বস্তিতে তৃণমূল
রাস্তায় প্রকাশ্যে মারধর (Murder in Kolkata)
অভিযোগ অনুযায়ী, অভিযুক্তের বাবা ঘটনাস্থলে এসে ছেলেকে মার খাওয়ার প্রতিশোধ নিতে তিনজনের উপর চড়াও হন। শখের বাজার সুপার মার্কেটের সামনেই তিনি এবং তাঁর ছেলে একযোগে বাপি ও বাকি বন্ধুদের উপর চড়াও হন। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, বাপিকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়, এমনকি তাঁকে লাথিও মারা হয়। বাপি পালানোর চেষ্টা করলেও তাঁকে ধরে টেনে এনে ফের আক্রমণ করা হয়। এভাবে মারধরের পর তিনি রাস্তায় পড়ে যান এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত (Murder in Kolkata)
ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে গুরুতর জখম অবস্থায় বাপিকে উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন (Murder in Kolkata)। ঘটনার পর পুলিশ দ্রুত অভিযুক্ত যুবক ও তাঁর বাবাকে গ্রেফতার করে। স্থানীয় দোকান ও বাজারে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Katwa: কাটোয়ার পরিত্যক্ত বাড়িতে পরপর বিস্ফোরণ, কেঁপে উঠল গোটা গ্রাম
এই ঘটনা ঘিরে শখের বাজার এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রবিবার সকাল থেকেই এলাকাজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ (Murder in Kolkata)। এলাকার ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বেহালা থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মদের আসর থেকেই বিবাদ শুরু হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”