ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সংশোধিত ওয়াকফ আইনকে (Murshidabad Situation) কেন্দ্র করে রাজ্যের একাধিক জায়গায় অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের সুতি ও উমরপুর এলাকা। ঘটনার জেরে কলকাতা হাই কোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে। শনিবার এই বিষয়ে হাই কোর্টের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা মামলায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কলকাতার কিছু অংশে কেন্দ্রীয় বাহিনী দরকার (Murshidabad Situation)
শুভেন্দু আদালতে দাবি করেন, মুর্শিদাবাদ ছাড়াও হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতার কিছু অংশে (Murshidabad Situation) কেন্দ্রীয় বাহিনী দরকার। যদিও শুরুতে রাজ্যের তরফে এই দাবিতে আপত্তি জানানো হয়, তবে আদালত জানতে চায়, যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী শুধুমাত্র পুলিশের সহায়ক হিসাবে কাজ করে, তবে আপত্তির কারণ কী? আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, অতীতেও বহুবার এই ধরনের পরিস্থিতিতে বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তৈরি রণকৌশল (Murshidabad Situation)
এরই মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে পৌঁছন রাজ্য (Murshidabad Situation) পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। জেলাশাসক ও পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পরে রাতের দিকে বিএসএফ-এর দুই শীর্ষ আধিকারিকের সঙ্গে জঙ্গিপুরে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মিলিত হন। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে কী ভাবে আধাসেনা মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, তা নিয়ে রণকৌশল তৈরি হয়।
পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ
শুক্রবারের ঘটনাতেই সুতি ও উমরপুর অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পুলিশের দাবি, জনতা তাদের উপর বোমা, ইট-পাটকেল ও গুলি ছুঁড়েছে। পাল্টা পুলিশের গুলিতে দু’জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানো হয় বহরমপুর ও ব্যারাকপুর থেকে।
১১৮ জনকে গ্রেফতার
এই পর্যন্ত ১১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বেসরকারি সূত্রে দাবি, তিন জনের মৃত্যুও হয়েছে এই অশান্তির জেরে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরাসরি মাঠে নামতে হয়েছে রাজ্য পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের।

মুখ্যমন্ত্রীর শান্তির বার্তা
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তির বার্তা দিয়ে বলেছেন, সংশোধিত ওয়াকফ আইন রাজ্য সমর্থন করে না, তাই হিংসার কোনও যুক্তি নেই। তিনি বলেন, কেউ যদি উস্কানি দিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করে, প্রশাসন কড়া হাতে ব্যবস্থা নেবে।
ডিজি রাজীব কুমারের হুঁশিয়ারি
ডিজি রাজীব কুমারও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘গুন্ডামি সহ্য করা হবে না। আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজনে পুলিশ কঠোরতম পদক্ষেপ নেবে।’’ তাঁর আবেদন, কেউ যেন গুজবে কান না দেন, বরং পুলিশকে সহযোগিতা করে শান্তি বজায় রাখেন।