Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদ ঘিরে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Waqf Protest) বিস্তীর্ণ এলাকা। ধুলিয়ান, সুতি, জলঙ্গি থেকে জঙ্গিপুর— একাধিক জায়গায় ঘটেছে ভাঙচুর, আগুন লাগানোর মতো ঘটনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যেই মোতায়েন হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, কিন্তু আতঙ্ক এখনও কাটেনি।
জারি বিশেষ নির্দেশিকা (Murshidabad Waqf Protest)
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজ্য সরকার জারি করেছে বিশেষ (Murshidabad Waqf Protest) নির্দেশিকা। আজ, সোমবার থেকে মঙ্গলবার রাত ১০টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি মালদা, বীরভূম এবং জঙ্গিপুরের কিছু অংশেও ইন্টারনেট পরিষেবা আপাতত স্থগিত।
১০০-র বেশি মানুষ গ্রেফতার (Murshidabad Waqf Protest)
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অশান্তির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০০-র বেশি মানুষকে (Murshidabad Waqf Protest) গ্রেফতার করা হয়েছে। সুতি, সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ান সহ একাধিক এলাকায় টহল দিচ্ছে রাজ্য পুলিশ ও বিএসএফ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শনিবার থেকে মাঠে নেমেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ধুলিয়ান, সুতি এবং সামশেরগঞ্জে ১৭ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
আতঙ্ক এখনও কাটেনি
তবে ধীরে ধীরে কিছু স্বাভাবিকতার ছোঁয়াও দেখা যাচ্ছে। সামশেরগঞ্জের রতনপুরে একটি ওষুধের দোকান, যেখানে শুক্রবার ভাঙচুর চালানো হয়েছিল, তা ফের খোলা হয়েছে পুলিশের আশ্বাসে। তবে আতঙ্ক এখনও কাটেনি সাধারণ মানুষের মন থেকে।
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
এই পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়কও। তিনি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, “জঙ্গিপুর পুলিশের গাফিলতিতেই পরিস্থিতি এতটা খারাপ হয়েছে। সময়মতো যদি সঠিক তথ্য উপরে পাঠানো হতো, তাহলে হয়তো ডিজির আগমন আরও আগেই হতো। পুলিশ ঘটনাগুলিকে হালকাভাবে নিয়েছে।”
পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে
যদিও পুলিশের দাবি, পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার আনন্দ রায় জানিয়েছেন, “বর্তমানে অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল। আমরা সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করব, কোনও গুজবে কান দেবেন না। যদি কোনও সন্দেহ থাকে, সরাসরি কন্ট্রোলরুমে যোগাযোগ করুন।”
আরও পড়ুন: Kalighat Skywalk: এবার ‘আকাশপথে’ হেঁটেই মা কালীর দর্শন, উদ্বোধন কবে?
পরিস্থিতি যেভাবে ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের দিকে এগোচ্ছে, তাতে কিছুটা আশার আলো দেখা গেলেও, প্রশাসনের কড়া নজরদারি ও সক্রিয়তা ছাড়া পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসবে কিনা, তা সময়ই বলবে।