ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মায়ানমারে শুক্রবার ৭.৭ মাত্রার এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে (Myanmar Earthquake) ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই ভূমিকম্পের প্রভাবে মায়ানমারের বিস্তীর্ণ অঞ্চল তছনছ হয়ে গেছে। ভূমিকম্পের কারণে মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১৬০০-র বেশি ছাড়িয়ে গেছে, এবং আহতের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন হাজারের কাছাকাছি। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া অনেকের সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি, ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুদ্ধবিরতির ঘোষণা (Myanmar Earthquake)
ভূমিকম্পের পর, মায়ানমারের সামরিক সরকার এবং তার বিরোধী (Myanmar Earthquake) গোষ্ঠী পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) এই কঠিন পরিস্থিতিতে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে। পিডিএফ জানায়, রবিবার, ৩০ মার্চ থেকে আগামী দু’সপ্তাহের জন্য তারা যুদ্ধবিরতি পালন করবে। এই সময়ের মধ্যে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকায় উদ্ধারকাজ এবং ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানোর কাজ সুষ্ঠুভাবে চালানো হবে।
বিপুল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা
মান্দালয় শহর, যা মায়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর, ভূমিকম্পে বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে অনেক বাড়ি, মসজিদ এবং অন্যান্য ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, উদ্ধারকারী দল এখনও অনেক জায়গায় পৌঁছাতে পারেনি। একদিকে, উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক সাহায্যের জন্য আবেদন করা হয়েছে মায়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: Pakistan: মুখ পুড়লো পাকিস্তানের, নাগরিকদের নিরাপত্তায় বেসরকারি সংস্থায় ভরসা চিনের!
সাহায্য়ের হাত
ভারত, চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, আমেরিকা, ইরান, মালয়েশিয়া সহ বেশ কিছু দেশ সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। ভারত প্রথম সাহায্য পাঠিয়েছে, এবং এর পরেই চিন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং অন্যান্য দেশগুলোও উদ্ধারকারী দল ও ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মায়ানমারকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।

উদ্ধারকাজে সুবিধা
এদিকে, মায়ানমারের সামরিক সরকারের সঙ্গে বিরোধী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের দীর্ঘদিনের সংঘর্ষের কারণে অনেক এলাকায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছিল। তবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা, বিশেষ করে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত অঞ্চলে উদ্ধারকাজে কিছুটা সুবিধা দিতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।