ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মায়ানমার এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে (Myanmar Earthquake)। গত শুক্রবারের ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর থেকেই দেশটি বারবার কম্পন বা আফটারশক শিকার হচ্ছে। বুধবার রাতেও ৪.৮ মাত্রার একটি ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে, যা ভূপৃষ্ঠ থেকে ২৫ কিলোমিটার গভীরে উৎপন্ন হয়েছিল। একই দিনে বিকেলে আরও একটি ভূমিকম্প হয়, যার মাত্রা ছিল ৪.৩।
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা ও ক্ষয়ক্ষতি (Myanmar Earthquake)
শুক্রবারের ভূমিকম্পের ফলে মায়ানমারে প্রাণহানি এবং ধ্বংসযজ্ঞ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে (Myanmar Earthquake)। এখন পর্যন্ত ৩০০০-এরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। ৪০০-র বেশি মানুষের এখনো কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পের ফলে মায়ানমারের বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
- ভবন ধ্বংস: ভূমিকম্পে বহু ভবন, রাস্তা ও সেতু ধসে পড়েছে।
- মানবিক সংকট: দেশটিতে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি আগে থেকেই চলছিল, তার মধ্যে এই ভূমিকম্প পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।
- উদ্ধার অভিযান: এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধারের জন্য উদ্ধারকারী দল নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জুন্টা সেনার সাময়িক যুদ্ধবিরতি (Myanmar Earthquake)
মায়ানমারে (Min Aung Hlaing) চলমান রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে ভূমিকম্পের ফলে নতুন এক চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে (Myanmar Earthquake)। জুন্টা-বিরোধী পিপল্স ডিফেন্স ফোর্স (PDF) আগেই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেছিল, এবং বুধবার জুন্টা সেনাও সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে। এতে করে উদ্ধারকাজ সহজ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: Japan Earthquake : ৮ থেকে ৯ মাত্রার বিধ্বংসী ভূমিকম্প ও সুনামির আশঙ্কায় জাপান!
আফটারশক ও আশঙ্কা (Myanmar Earthquake)
প্রথমবার ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর মায়ানমারে অন্তত ১৫ বার আফটারশক অনুভূত হয়েছে। ভূতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর আরও আফটারশক হতে পারে এবং তাতে নতুন করে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থেকে যায়।

আরও পড়ুন: Vladimir Putin Limousine : রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের লিমোজিনে বিস্ফোরণের নেপথ্যে কে? গুপ্তহত্যার ছক নাকি অন্তর্ঘাত ?
প্রতিবেশী দেশগুলিতে প্রভাব (Myanmar Earthquake)
শুধু মায়ানমারই নয়, এই ভূমিকম্প পার্শ্ববর্তী দেশগুলিতেও প্রভাব ফেলেছে (Myanmar Earthquake)। তাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের একটি নির্মীয়মাণ ৩০-তলা ভবন ধসে পড়ে, যেখানে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এখনও অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছেন এবং তাঁদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।
উদ্ধার কার্য (Myanmar Earthquake)
বিপর্যয় মোকাবিলায় মায়ানমারের সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বিভিন্ন দেশ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা এখনো দিনরাত পরিশ্রম করে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।মায়ানমারের এই ভূমিকম্প এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় তৈরি করেছে। একদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ—এই দুইয়ের সম্মিলিত প্রভাব দেশটিকে এক গভীর সংকটে ঠেলে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তা এবং দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রমই এখন মায়ানমারবাসীর প্রধান ভরসা।