ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে ফের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল ভারতের অন্যতম নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান IIT খড়গপুরে (IIT Kharagpur)। রবিবার রাতে চতুর্থ বর্ষের ছাত্র অনিকেত ওয়ালকারের (Aniket Walkar) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা ক্যাম্পাসে।
মৃত অনিকেত ছিলেন ওশেন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড নোভাল আর্কিটেকচার বিভাগের ছাত্র। তিনি J.C. Bose হলের C-214 নম্বর রুমে থাকতেন। সহপাঠীরা দীর্ঘ সময় ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে অনিকেতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে এবং খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয় (Mysterious death)। অনিকেত ওয়ালকারের পরিবার মহারাষ্ট্রের রামনগর থানার অধীনে সাম্রাট অশোকনগর এলাকার বাসিন্দা। IIT কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে পরিবারকে খবর দিয়েছে এবং তাঁরা খড়গপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Warehouse Fire: কলকাতায় মধ্যরাতে অগ্নিকাণ্ড, গুদামে আটকে দুই শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু
আত্মহত্যা না রহস্যমৃত্যু? তদন্ত শুরু পুলিশের (Mysterious death)
পুলিশ ও IIT সূত্রে প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে মনে করা হলেও, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার জানিয়েছেন, “ঘটনার গভীরে পৌঁছাতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। অনিকেতের ফোন ও ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।”

মানসিক চাপ ও একাডেমিক স্ট্রেস কী দায়ী? (Mysterious death)
অনেকেই মনে করছেন, অতিরিক্ত একাডেমিক চাপ ও মানসিক অবসাদ এই ঘটনার পেছনে বড় কারণ হতে পারে। IIT খড়গপুরে এর আগেও একাধিক ছাত্রছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে, যার অধিকাংশই আত্মহত্যা বলে দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Jagannath Dev: সমুদ্র থেকে আগমন প্রভুর? দিঘায় ভেসে এল জগন্নাথদেবের মূর্তি
তিন মাসে দ্বিতীয় মৃত্যু, আগেও ঘটেছে এমনই ঘটনা (Mysterious death)
এই IIT খড়গপুর ছাত্রের মৃত্যু ঘটনা ২০২৫ সালের দ্বিতীয়। এর আগে ১২ জানুয়ারি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সাওন মালিক আত্মহত্যা করেন।
গত কয়েক বছরে আরও একাধিক ছাত্রছাত্রীর রহস্যমৃত্যু হয়:
- ১৪ অক্টোবর ২০২২ – ফয়জান আহমেদ, তৃতীয় বর্ষ, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
- অক্টোবর ২০২৩ – কে. কিরণ চন্দ্রা, চতুর্থ বর্ষ, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
- জুন ২০২৪ – দেবিকা পিল্লাই, ছাত্রী, কেরলের বাসিন্দা
মানসিক স্বাস্থ্য ও সাপোর্ট সিস্টেম কি যথেষ্ট? ক্রমাগত ছাত্র আত্মহত্যার ঘটনা প্রমাণ করে, মেধার চাপ এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যাকে গুরুত্ব না দিলে আরও প্রাণ ঝরে যেতে পারে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা ও সাপোর্ট সিস্টেম জোরদার করার দাবি উঠছে।