ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আবাস যোজনায় (Housing Scheme) ঘর তৈরির জন্য পেয়েছিলেন প্রথম কিস্তির টাকা (Names Excluded From Housing Scheme)। কিন্তু বিজেপি (BJP) করার অপরাধে আবাসের তালিকা থেকে নাম বাদ ! চাঞ্চল্যকর ঘটনা দক্ষিণ 24 পরগনার মথুরাপুর দু নম্বর ব্লকে। নতুন ঘর তৈরির জন্য পুরোনো ঘর ভেঙে বিপদে উপভোক্তা।
আবাস যোজনা থেকে নাম বাদ (Names Excluded From Housing Scheme)
আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতির ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছে রাজ্যে (Names Excluded From Housing Scheme)। পাকা বাড়ি আছে এমন লোকজনের নাম রয়েছে তালিকায়। কিন্তু যাঁদের মাথা গোঁজার জায়গা নেই বললেই চলে তাঁরা বাড়ি পাচ্ছেন না। এখানেই শেষ নয়, অবস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম কাটমানি নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার। সরকারি এই প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে সরগরম হয়েছে রাজ্য-রাজনীতি।
বিজেপি করাই কি অপরাধ উপভোক্তার? (Names Excluded From Housing Scheme)
এবারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে উঠে এলো এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ (Names Excluded From Housing Scheme)। বিজেপি করার অপরাধে আবাসের তালিকা থেকে নাম বাদ গেল উপভোক্তার। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ 24 পরগনার মথুরাপুর দু নম্বর ব্লকের নগেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব শ্রীধরপুর গ্রামে। ঘর তৈরির জন্য প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার পর উপভোক্তার আবাস যোজনার অ্যাকাউন্ট হোল্ড হয়ে যায় বলে অভিযোগ।

হোল্ড আবাস যোজনার অ্যাকাউন্ট
শ্রীধরপুর গ্রামের বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর অলোক হালদার।তিনি এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। অলোক হালদারের নামে বরাদ্দ হয় বাংলার আবাস যোজনার এক লাখ কুড়ি হাজার টাকা।প্রথম কিস্তির টাকাও ঢোকে তার একাউন্টে।কিন্তু বিজেপি করার অপরাধে তার নামে পাস হওয়া বাংলার আবাস যোজনার একাউন্ট হোল্ড হয়ে যায় বলে অভিযোগ।বিডিওর দফতর থেকে এবিষয়ে একটি নোটিশও আসে উপভোক্তার কাছে।
আরও পড়ুন: Ram Navami: শুভেন্দু অধিকারীর নামে ‘গো ব্যাক’ পোস্টার, রামনবমীর আগে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা
ঘর ভেঙে সমস্যার সম্মুখীন উপভোক্তা
ওই উপভোক্তার একাউন্টে আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা ছাড়াও তাঁর নিজের জমানো কিছু টাকা ছিল। যার জেরে একাউন্ট হোল্ড হয়ে যাওয়ায় মহা সমস্যায় পড়েছেন অলোক হালদার। বাড়ি তৈরি করার জন্য ভেঙে ফেলা হয়েছে পুরনো বাড়ি।যার জেরে চরম সমস্যার সম্মুখীন তিনি।
অভিযোগ পেতেই বিডিওর পদক্ষেপ
অভিযোগ পাওয়ার পর দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিডিও নাজির হোসেন। তদন্ত করে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা ব্যাঙ্কে চিঠি পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও।আদেও কি মিলবে টাকা ? আবাসের ঘর তৈরী করতে পারবেন ওই উপভোক্তা ? সেটাই এখন দেখার।