Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দীর্ঘ ২৮ মাস পর অবশেষে মণিপুর সফরে (Narendra Modi) গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বহুদিন ধরে চলতে থাকা গোষ্ঠীহিংসার আবহে এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে। মিজোরাম সফর শেষে শনিবার দুপুরে বিমানে করে ইম্ফলে পৌঁছন তিনি। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে চুরাচান্দপুর যাওয়ার কথা থাকলেও, প্রবল বৃষ্টির কারণে সড়কপথেই গন্তব্যে পৌঁছাতে হয় তাঁকে।
জনসভা থেকে শান্তির আবেদন (Narendra Modi)
চুরাচান্দপুর, যেখানে ২০২৩ সালের মে মাসে হিংসার সূত্রপাত (Narendra Modi) হয়েছিল, সেখানেই এক জনসভা থেকে শান্তির আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রী। সভাস্থল ছিল ঐতিহাসিক কাংলা দুর্গ মাঠ। সভায় তিনি প্রায় ৭০০০ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন এবং মণিপুরে সড়ক ও রেল পরিকাঠামো আরও উন্নত করার আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে মোদী বলেন, মণিপুরের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে সব পক্ষকে শান্তির পথে আসতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন… (Narendra Modi)
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি সমস্ত সংগঠনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি-দয়া (Narendra Modi) করে শান্তির পথে ফিরে আসুন। শিশুদের ভবিষ্যৎ, রাজ্যের উন্নয়ন, এবং মানুষের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার স্বার্থেই আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।” এই সফরের সবচেয়ে সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ছিল চুরাচান্দপুরে গোষ্ঠী সংঘর্ষে ঘরছাড়া হওয়া মানুষের সঙ্গে মোদির সরাসরি সাক্ষাৎ। ২০২৩ সালের মে মাসে এই জেলাতেই প্রথম দফায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল, যখন মেইতেই গোষ্ঠী তফসিলি জনজাতির তকমার দাবি জানায় এবং তার প্রতিবাদে রাস্তায় নামে কুকি-জো আদিবাসী সম্প্রদায়। এরপর রাজ্যের একাধিক অঞ্চলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে এবং হাজার হাজার মানুষ তাঁদের ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন।

আরও পড়ুন: Earthquake Alert: ফের ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প রাশিয়ায়, কম্পনের জেরে সুনামির আশঙ্কা!
প্রধানমন্ত্রীর এই সাক্ষাৎ অনেকের কাছেই একটি ইতিবাচক রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে। তাঁর সফরের দ্বিতীয় পর্বে তিনি মেইতেই অধ্যুষিত ইম্ফল উপত্যকায় যান, যেখানে তিনি আরও ঘরছাড়াদের সঙ্গে কথা বলেন এবং নতুন কিছু উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।