ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গুজরাত সফরের শুরু (Narendra Modi) থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। দোহোয়াতে এক সভায় তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছিলেন, “সুখে-শান্তিতে দিন কাটাও, রুটি খাও, না হলে আমার গুলি তো আছেই।” এবার গান্ধীনগর থেকে তিনি আরও একবার পাক অধিকৃত অঞ্চল ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় কড়া বার্তা দিয়েছেন। মোদি বলেন, “এবার গুলির জবাব গুলিতেই দেওয়া হবে।” তার ভাষণে ছিল ভারতের দৃঢ় সংকল্প ও সাহসিকতার প্রতিফলন, যা দেশের সর্বস্তরের মানুষকে জাতীয়তাবাদের আবেগে উদ্দীপ্ত করেছে।
পাকিস্তানের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা (Narendra Modi)
প্রধানমন্ত্রী মোদি পাকিস্তানের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, সরাসরি লড়াই এড়িয়ে (Narendra Modi) পাকিস্তান ‘ছায়াযুদ্ধ’ চালিয়ে যাচ্ছে, যা মূলত নিরীহ মানুষের ওপর হামলার মাধ্যমে তাদের কুৎসিত উদ্দেশ্য প্রকাশ পায়। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “ভারত প্রতিবেশী দেশের শান্তি ও সুখ চায়, কিন্তু নিজেরাও সুখে থাকতে চাইলে আমাদেরও শান্তি দিতে হবে।” মোদির ভাষায়, “আর সহ্য করার দিন শেষ।” তার বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গে চারপাশ থেকে গর্জন তুলতে শুরু করে ‘মোদি মোদি’ স্লোগান।
সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা (Narendra Modi)
তিনি আরও বলেন, “এই মাটি বীরদের (Narendra Modi) ভূমি। ৬ মে-র সেই ঘটনার পর থেকে, যা আমরা আগে ছায়াযুদ্ধ বলতাম, আজ আর তা বলা যায় না।” মোদি জানান, মাত্র ২২ মিনিটের মধ্যে ভারত সন্ত্রাসবাদের নয়টি আস্তানাকে সনাক্ত ও ধ্বংস করে ফেলেছে, এবং সবকিছু ক্যামেরাবন্দি করার মাধ্যমে কোনো সন্দেহের অবকাশ রেখেছে না। এতে প্রমাণ হয় যে ভারত সরাসরি ও দৃঢ়ভাবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছে।
সিন্ধু জল চুক্তি আপাতত স্থগিত
অপরদিকে, সিন্ধু জল চুক্তি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণা থাকলেও, জলচুক্তির ক্ষেত্রে ভারত স্পষ্ট করল আপাতত কোনো আলোচনা হবে না। মোদি বলেন, “আমরা এখনো কিছুই করিনি, তবুও পাকিস্তান আগ্রাসী হয়ে উঠছে।” তিনি নতুন প্রজন্মকে জানান, ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তির শর্ত অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মীরের নদীর ওপর নির্মিত বাঁধগুলি পরিষ্কার করা হয়নি, ফলস্বরূপ জলাশয়ের ধারণক্ষমতা আজ মাত্র ২-৩ শতাংশে নেমে এসেছে। মোদি আরও জানান, সম্প্রতি ভারত বাঁধ পরিষ্কারের জন্য ছোট দরজা খুলেছে, যার ফলে সেখানে বন্যা দেখা দিয়েছে।

চলমান সন্ত্রাসের ধারাবাহিকতা
প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানকে “দেশভাগের সময় ভারতকে দুই ভাগে ভাগ করার সেই কাঁটাটি” হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “সেই রাতে মুজাহিদিনরা কাশ্মীরে প্রথম সন্ত্রাসী হামলা চালায়, এবং পরবর্তীতে পাকিস্তান মুজাহিদিনদের সহায়তায় ভারতমাতার একটি অংশ দখল করে নেয়।” মোদি আরও বলেন, “যদি সেই সময় মুজাহিদিনদের দমন করা হতো এবং সর্দার পটেলের পরামর্শ গ্রহণ করা হতো, তাহলে গত ৭৫ বছরে চলমান সন্ত্রাসের ধারাবাহিকতা হতো না।”
আরও পড়ুন: Tejashwi Yadav: আবার বাবা হলেন তেজস্বী, আশীর্বাদ জানাতে হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী
সার্বিকভাবে মোদের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, ভারত তার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং সন্ত্রাসবাদ ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর ও ফলপ্রসূ পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।