ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দু’দিনের কুয়েত (Kuwait) সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ৪৩ বছরের পর ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী পা রাখলেন কুয়েতের মাটিতে। শনিবার সকালে কুয়েতের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। মোদির এই সফরকে নতুন অধ্যায়ের সূচনা বলে জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। এই সফরে ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, শিল্প, কর্মসংস্থান নিয়ে আলোচনা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে ভবিষ্যতে ভারত-কুয়েতের বন্ধন আরও মজবুত হবে।
কুয়েতে একগুচ্ছ কর্মসূচি (Narendra Modi)
জানা গিয়েছে, শনিবার থেকেই কুয়েতে ছিল মোদির ঠাসা কর্মসূচি। কুয়েতের আমিরশেখ মেশাল আল-আহমাদ আল-জাবের-আল-সাবাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন নমো (Narendra Modi)। বৈঠকে বসবেন কুয়েতের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও। মোদির এই সফরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অন্য মাত্রা পাবে বলেও আশাবাদী নয়াদিল্লি (New Delhi)। কুয়েতে প্রবাসী ভারতীয়দের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া থেকে ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন-সহ একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে মোদির।
মোদির এক্স বার্তা (Narendra Modi)
এই ঐতিহাসিক সফর নিয়ে খুবই উচ্ছ্বসিত মোদি (Narendra Modi)। রওনা দেওয়ার আগে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, আজ ও আগামীকাল আমি কুয়েতে থাকব। এই সফর কুয়েতের সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরও মজবুত করবে। আমি কুয়েতের আমির, যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের অপেক্ষায় রয়েছি।’
আরও পড়ুন: Drone Attack: রাশিয়ার কাজানে ৯/১১ –এর মতো ড্রোন হামলা!
‘হালা মোদি’ অনুষ্ঠান
সূত্রের খবর, ‘হালা মোদি’ নামে প্রবাসীদের একটি অনুষ্ঠান হবে। যেখানে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি।
সেখানে চার থেকে পাঁচ হাজার ভারতীয়র উদ্দেশে ভাষণ দেবেন নমো। কুয়েতে থাকা ভারতীয় শ্রমিকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেও এই সফরে কথা বলবেন মোদি। তিনি যাবেন লেবার ক্যাম্প পরিদর্শনে। মোদির এই কুয়েত সফরে উচ্ছ্বসিত প্রবাসীরা।
কী বলছে বিদেশমন্ত্রক
প্রধানমন্ত্রীর সফরের একদিন আগে, বিদেশমন্ত্রক বলেছে যে মোদির কুয়েত সফর ভারত-কুয়েত(Kuwait)সম্পর্কের “একটি নতুন অধ্যায়” উন্মোচন করবে বলেই আশা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তারা এও বলেন, কুয়েতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তি ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তির জন্য আলোচনা হতে পারে মোদির এই সফরে।
আরও পড়ুন: Warm Relation with PM Modi: ভারতের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক রাশিয়ার, মন্তব্য পুতিনের
কুয়েত গিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ১৯৮১ সালে কুয়েতে গিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। এরপর প্রায় চার দশক পর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোদির পা পড়লো মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে। কুয়েত হল ভারতের ষষ্ঠ বৃহত্তম অপরিশোধিত সরবরাহকারী, যা দেশের জ্বালানি চাহিদার ৩% পূরণ করে। যেখানে ভারতে কুয়েত কর্তৃপক্ষের বিনিয়োগ ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। এবার তাই মোদীর এই কুয়েত সফর যে নতুন দিক খুলে দেবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।