Last Updated on [modified_date_only] by Ananya Dey
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : ২০২৫ এর সেপ্টেম্বর মাসে ৭৫ বছর পূর্ণ করবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। বিজেপির সাংগঠনিক নিয়মানুযায়ী ৭২ বছর হয়ে গেলে প্রশাসন ও সংগঠনের পদে থাকবেন না সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি। যদিও নরেন্দ্র মোদীর ক্ষেত্রে ৩ বছর সময় বাড়িয়ে করা হয় ৭৫। তবে কী ২০২৯ সালের আগেই নরেন্দ্র মোদীর জায়গায় নতুন প্রধানমন্ত্রী পেতে চলেছে ভারত? চর্চা রাজনৈতিক মহলে।
২০২৯ সালের আগেই প্রধানমন্ত্রীর মুখ পরিবর্তন ? (Narendra Modi)
সালটা ২০১৪, দশ বছর ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ কোনঠাসা। একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ সরকারের বিরুদ্ধে। এই অবস্থায় নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) মুখ করে নির্বাচনী আসরে নামল ভারতীয় জনতা পার্টি। বাকিটা ইতিহাস। এনডিএ পেল ৩৩৬টি আসন,আর বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পেল ২৮২টি আসন। ভারতের রাজনীতিতে শুরু হল মোদী যুগ। ২০১৯ সালেও রইল বিজেপির ঝোড়ো হাওয়া। ৩০৩টি আসন পেল মোদী-অমিত শাহ জুটি।
টানা দশবছর সরকারের থাকার পর ২০২৪ সালে প্রতিষ্ঠান বিরোধী মানসিকতার জন্য ফল কিছুটা খারাপ হল পদ্ম শিবিরের। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও এনডিএ-ই সরকার গড়ল,তৃতীয়বারের জন্য টানা প্রধানমন্ত্রী হলেন গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। কিন্তু প্রশ্ন, বিজেপির সাংগঠনিক রীতি অনুযায়ী ৭২ বছরের পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পদে থাকতে পারবেন না,তবে মোদীর ক্ষেত্রে তা তিনবছর বৃদ্ধি করে ৭৫ বছর করা হয়েছিল। এবছর ১৭ সেপ্টেম্বর ৭৫বছর পূর্ণ
করতে চলেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। প্রশ্ন এবার কী হবে ? ২০২৯ সালের আগেই কী পরিবর্তন হবে প্রধানমন্ত্রীর মুখ? বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য সরাসরি এই প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বিষয়টিতে দল সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে।
আরও পড়ুন : Madhya Pradesh: ব্রিটিশ চিকিৎসকের নাম ভাঁড়িয়ে ভুল চিকিৎসা, অস্ত্রোপচারের জেরে মৃত ৭
বিকল্প মুখ তৈরী আরএসএসের ? (Narendra Modi)
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, বিজেপির অন্যতম চালিকাশক্তি যেহেতু আরএসএস (RSS)। ফলে ইতিমধ্যেই বিকল্প (Narendra Modi) নিশ্চয়ই তৈরী রয়েছে। সঠিক সময় তা সামনে আনা হবে। প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনের ফলাফলে কিছুটা অখুশি আরএসএস, এমন গুঞ্জন রয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন : Uttar Pradesh Incident: ঋতুমতী হওয়ায় নবরাত্রি পালনে বাধা, অভিমানে আত্মঘাতী গৃহবধূ
আরএসএসের দফতরে নরেন্দ্র মোদী
পরপর দুবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার ক্ষেত্রে মোদী-অমিত শাহকেই কৃতিত্ব দিয়েছে দলের বড় একাংশ। স্বাভাবিকভাবেই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণেই এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি পদ্ম শিবির, এমন বক্তব্যও রয়েছে। পাশাপাশি যে দুই দলের ওপর এবারের সরকারের স্থায়িত্ব নির্ভর করছে তার মধ্যে অন্যতম নীতিশ কুমারের দল। যে নীতিশ কুমার একদা ইন্ডিয়া জোট তৈরির অন্যতম কারিগর ছিলেন এবং পরিস্থিতি বুঝে শিবির বদলে তার জুড়ি মেলা ভার। ফলে চিন্তা রয়েছে বিজেপির অন্দরেও। এর মধ্যে আরও একটি বিষয় দেখা গেছে। দীর্ঘদিন বাদে আরএসএসের নাগপুরের দফতরে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। স্বাভাবিকভাবেই সব মিলিয়ে এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মহলে বিভিন্ন জল্পনা চলছে। তবে ২০২৯ সালের আগেই প্রধানমন্ত্রীর মুখ পরিবর্তন হবে কী না? তার উত্তর দেবে সময়।