Last Updated on [modified_date_only] by Debu Das
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মঙ্গলবার নেপালে ফের জেন জেড বিক্ষোভ ভয়ঙ্কর রূপ নিল(Nepal Gen Z Protest)। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি (K P Sharma Oli) ও যোগাযোগমন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুং-এর ব্যক্তিগত বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পাশাপাশি আরও কয়েকজন নেতার বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ তৈরি করে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছোড়ে, যার ফলে সংঘর্ষ চরমে ওঠে।
কৃষিমন্ত্রীর ইস্তফা (Nepal Gen Z Protest)
সরকারি দমননীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে কৃষিমন্ত্রী রাম নাথ অধিকারী পদত্যাগ করেছেন(Nepal Gen Z Protest)। সোমবারের রক্তাক্ত ঘটনায় অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয় কাঠমাণ্ডু ও অন্যান্য অঞ্চলে। কৃষিমন্ত্রীর দাবি, সরকারের কঠোর পদক্ষেপ অগ্রহণযোগ্য।
ওলির আবেদন, সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক (Nepal Gen Z Protest)
বিক্ষোভ পরিস্থিতি সামাল দিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী ওলি(Nepal Gen Z Protest)। তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, “এই কঠিন পরিস্থিতিতে সকল ভাই-বোনকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছি।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে তথ্যের অভাব এবং তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে “চিন্তার অস্পষ্টতা” থেকেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ওলি দাবি করেন, সরকার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার বন্ধ করতে চায়নি।

আরও পড়ুন : Nepal Gen Z Protest : নেপালের বিক্ষোভে পুলিশের সংঘর্ষে নিহত ২০, আহত ২৫০-র বেশি
তদন্ত কমিটি ও ক্ষতিপূরণের ঘোষণা (Nepal Gen Z Protest)
মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দেন, ১৫ দিনের মধ্যে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ও আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
পদত্যাগ নয়, বললেন যোগাযোগমন্ত্রী (Nepal Gen Z Protest)
যোগাযোগমন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুং স্পষ্ট করেছেন, ওলি পদত্যাগ করবেন না। তাঁর কথায়, “প্রধানমন্ত্রী এখনই ইস্তফা দেবেন না।”
আরও পড়ুন : Vice Presidential Election : উপরাষ্ট্রপ্রতি নির্বাচন বয়কট বিআরএস এবং বিজেডির! কেন এমন সিদ্ধান্ত?
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া (Nepal Gen Z Protest)
অস্ট্রেলিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস যৌথ বিবৃতি দিয়ে নেপালে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
সোমবার রাতেই জরুরি বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সামাজিক মাধ্যমের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, এক্স (টুইটার)-এর মতো প্ল্যাটফর্ম ৪ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ ছিল।
বিক্ষোভের মূল ইস্যু
মূলত দুর্নীতি বিরোধী ব্যবস্থা, কর্মসংস্থানের অভাব ও সামাজিক মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা—এসব নিয়ে ক্ষুব্ধ তরুণ প্রজন্ম রাস্তায় নামে। অধিকাংশ বিক্ষোভকারী ছিলেন কলেজ ও স্কুল পড়ুয়া। পুলিশের গুলি চালনার পর আন্দোলন ভয়াবহ রূপ নেয়।