Last Updated on [modified_date_only] by Debu Das
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : নেপালের রাস্তায় টানা আন্দোলন(Nepal Gen Z Protest) ও প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির (K P Sharma Oli) পদত্যাগের পর অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে কাকে বসানো হবে, তা ঘিরে নতুন মোড় নিল নেপালের ‘জেন জেড বিদ্রোহ’। বৃহস্পতিবার আন্দোলনকারী তরুণদের একাংশ প্রাক্তন নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি প্রধান কুলমান ঘিসিংকে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বের জন্য প্রস্তাব দিল।
কার্কি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হবেন? (Nepal Gen Z Protest)
এর আগে আন্দোলনকারীদের একাংশ প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশিলা কার্কিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে চান(Nepal Gen Z Protest) । কিন্তু বৃহস্পতিবার অপর একটি শক্তিশালী অংশ জানায়, সংবিধান অনুযায়ী প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিদের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ নেই। পাশাপাশি তাঁর বয়স ৭০ পেরিয়ে যাওয়াকেও অযোগ্যতার কারণ হিসেবে দেখানো হয়। ফলে তরুণদের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়।
জনপ্রিয় বিকল্পও সরলেন(Nepal Gen Z Protest)
কাঠমাণ্ডুর মেয়র বলেন্দ্র সাহকে (বালেন সাহ) সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে দেখা হচ্ছিল(Nepal Gen Z Protest) । কিন্তু সাহ নিজেই দায়িত্ব নিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। ধরান পৌরসভার মেয়র হার্ক সম্পাংকেও বিকল্প হিসেবে আলোচনায় আনা হলেও, তাঁকে সর্বসম্মত নেতা হিসেবে মেনে নেওয়ার সম্ভাবনা কম বলে জানায় আন্দোলনকারীরা।

আরও পড়ুন : Kolkata Metro Railway : এখন থেকে সপ্তাহান্তেও ইয়েলো লাইনে মিলবে মেট্রো
ঘিসিংয়ের নাম কেন সামনে এল
অবশেষে প্রস্তাব করা হয় কুলমান ঘিসিংয়ের নাম(Nepal Gen Z Protest) । ৫৪ বছর বয়সি এই প্রকৌশলী দীর্ঘদিন বিদ্যুৎ খাতের সঙ্গে যুক্ত। নেপালে প্রায় ১৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলত, সেই অন্ধকার যুগের অবসান ঘটান ঘিসিং। ফলে তাঁকে দেশজুড়ে “জনপ্রিয় ও দেশপ্রেমিক” নেতা হিসেবেই দেখছেন আন্দোলনকারীরা। ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে তিনি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেছিলেন।
তরুণদের ক্ষোভের বিস্ফোরণ(Nepal Gen Z Protest)
সোমবার শুরু হওয়া এই আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞা থেকে। সরকার ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স-সহ ২৬টি প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেয়। তরুণরা এটিকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় আঘাত বলে মনে করে রাস্তায় নেমে আসে। সঙ্গে যোগ হয় দুর্নীতি, স্বজনপোষণ এবং কর্মসংস্থানের অভাবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ।
আরও পড়ুন : SC On India Pak Match : সুপ্রিম কোর্টে খারিজ জনস্বার্থ মামলা, সময় মতোই হবে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ
ভয়াবহ দমননীতি
আন্দোলন দ্রুত হিংসাত্মক রূপ নেয়। নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট এবং শেষ পর্যন্ত গুলি চালায়(Nepal Gen Z Protest) । এ পর্যন্ত অন্তত ৩৪ জন বিক্ষোভকারী নিহত এবং হাজারেরও বেশি আহত হয়েছেন। তীব্র চাপে শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
নেপালি কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক গগন থাপা এবং বিশ্ব প্রকাশ শর্মা যৌথ বিবৃতিতে জানান, তাঁরা জেন জেডদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। তবে একই সঙ্গে তাঁরা জোর দেন, “সবকিছু সংবিধান ও আইনি প্রক্রিয়া মেনে হতে হবে।”
এদিকে, বৃহস্পতিবার সেনা সদর দফতরে তীব্র আলোচনায় যোগ দেন সুশিলা কার্কি ও রাজতন্ত্রপন্থী নেতা দুর্গা প্রসাই।
ভবিষ্যতের দিকনির্দেশ
প্রশ্ন এখন একটাই—কুলমান ঘিসিং কি সত্যিই অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে বসতে চলেছেন?
তরুণ আন্দোলনকারীরা তাঁকেই চান, তবে রাজনৈতিক দল ও সংবিধানিক কাঠামোর স্বীকৃতি ছাড়া বিষয়টি চূড়ান্ত হবে না(Nepal Gen Z Protest) । ফলে আপাতত অস্থিরতার মধ্যে নতুন নেতৃত্বের পথ খুঁজছে নেপাল।