Last Updated on [modified_date_only] by Debu Das
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কেপি শর্মা অলি! আজই পালবেন দেশ ছেড়ে,এমনই সম্ভাবনা উঠে এলো। সোমবার থেকে শুরু হওয়া নেপালের জেন জেড বিক্ষোভ মঙ্গলবার আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিল (Nepal Gen Z Protest)। প্রথম দিনে প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌডেল-এর বাসভবনে হামলা চালিয়ে অংশবিশেষে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। মঙ্গলবার তাণ্ডব পৌঁছায় প্রধানমন্ত্রীর কেপি শর্মা ওলি (K P Sharma Oli) এবং যোগাযোগমন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুং-এর ব্যক্তিগত বাড়ি পর্যন্ত।
এছাড়া নেপালি কংগ্রেস নেতা শেরবাহাদুর দেউবা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক, এবং মাওবাদী নেতা পুষ্পকমল দাহাল-এর বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। দেউবার স্ত্রী তথা বিদেশমন্ত্রী অর্জু দেউবা রানার মালিকানাধীন একটি বেসরকারি স্কুলে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
ইস্তফা দিলেন কেপি শর্মা অলি(Nepal Gen Z Protest)
প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নেপালের প্রধানময়ন্ত্রী কেপি শর্মা অলি(Nepal Gen Z Protest)। সোমবার যে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেই আন্দোলনের উত্তাপ আজ পৌছেছিল প্রধানমন্ত্রী অলির বাড়িতে। আগুন ধরানো হয়।এবার আরও একটি সম্ভাবনা উঠে এলও তিনি আজই দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন।
সহিংসতায় মৃত্যু, হাসপাতালে আহতের ভিড় (Nepal Gen Z Protest)
দুই দিন ধরে বিক্ষোভকারীরা রাজধানী কাঠমাণ্ডুসহ বিভিন্ন শহরে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ গড়ে তোলেন, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান(Nepal Gen Z Protest)। সোমবার পুলিশের গুলিতে অন্তত ১৯ জন নিহত হন, গুরুতর জখম হন অনেকে। কাঠমাণ্ডুর বিভিন্ন হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ শতাধিক আহত ভর্তি রয়েছে। চিকিৎসকদের দাবি, বহু রোগীর মাথা ও বুকে গুলির আঘাত লেগেছে, পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক।
ন্যাশনাল ট্রমা সেন্টারের চিকিৎসক ডা. বদ্রী রিসা জানান, শুধু তাঁদের হাসপাতালে সাতজন মৃতদেহ আনা হয়েছে। হাসপাতালের বাইরে উদ্বিগ্ন স্বজনদের ভিড় দেখা যায়, পাশাপাশি শহরে একাধিক ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পে দীর্ঘ লাইন পড়ে।
সরকারের পাল্টা ঘোষণা (Nepal Gen Z Protest)
বিক্ষোভ দমন করতে মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কাঠমাণ্ডুতে কারফিউ জারি করা হয়েছে (Nepal Gen Z Protest)। বন্ধ রাখা হয়েছে সব স্কুল। ভারী নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে সংসদ চত্বরে।
প্রধানমন্ত্রী ওলি আশ্বাস দিয়েছেন, ঘটনার তদন্তে ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে বিশেষ কমিটি। নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ঘোষণা দেন তিনি। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি। বিক্ষোভকারীরা স্লোগান তুলেছেন— “সরকারি খুনিদের শাস্তি চাই, শিশু হত্যা বন্ধ করো।”
আরও পড়ুন : Vice Presidential Election : উপরাষ্ট্রপ্রতি নির্বাচন বয়কট বিআরএস এবং বিজেডির! কেন এমন সিদ্ধান্ত?
মন্ত্রিসভায় পদত্যাগ, বাড়ছে চাপ (Nepal Gen Z Protest)
সোমবার রাতের জরুরি মন্ত্রিসভা বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক পদত্যাগ করেছেন(Nepal Gen Z Protest)। কৃষিমন্ত্রীও আগের দিন ইস্তফা দিয়েছিলেন। এ ঘটনাকে সরকারের বিরুদ্ধে প্রবল ক্ষোভের প্রতিফলন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সামাজিক মাধ্যম নিষেধাজ্ঞাই মূল ক্ষোভের কারণ(Nepal Gen Z Protest)
এই আন্দোলনের সূচনা হয় সরকারের সিদ্ধান্ত থেকে— ২৬টি সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব এবং এক্স (টুইটার)-এর মতো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ ছিল। যদিও মঙ্গলবার সকালে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়, বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে।
সরকার বলছে, প্ল্যাটফর্মগুলিকে স্থানীয়ভাবে নিবন্ধন ও প্রতিনিধি নিয়োগের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সমালোচকদের অভিযোগ, এটি আসলে কণ্ঠরোধের চেষ্টা।
আরও পড়ুন : Nepal Gen Z Protest : প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে আগুন! ইস্তফা নেপালের কৃষিমন্ত্রীর
রাজনৈতিক অব্যবস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ(Nepal Gen Z Protest)
বিশ্লেষকদের মতে, সামাজিক মাধ্যম নিষেধাজ্ঞা ছিল কেবল উসকানি। প্রকৃতপক্ষে তরুণ প্রজন্মের ক্ষোভ জমে ছিল দুর্নীতি, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও রাজনৈতিক অচলাবস্থার বিরুদ্ধে। সেই অসন্তোষই এবার ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।