Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুর নিউ (Nepal Protest) বানেশ্বর এলাকায় সোমবার এক চরম উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিপুল সংখ্যক বিক্ষোভকারী পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সংসদ ভবনের দিকে ধেয়ে যায়। এই প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারী অধিকাংশই নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুণী, যারা সম্প্রতি দেশে সোশ্যাল মিডিয়ার উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ।
জারি কারফিউ (Nepal Protest)
প্রথমে এই বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ হওয়ার কথা থাকলেও পরিস্থিতি দ্রুতই উত্তপ্ত (Nepal Protest) হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবনের প্রবেশদ্বার পর্যন্ত পৌঁছে যায় এবং ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে। এই ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয় এবং কাঠমাণ্ডু জেলা প্রশাসন পুরো নিউ বানেশ্বর এলাকায় কারফিউ জারি করে। জেলা প্রশাসক ছাবিলাল রিজাল জানান, দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ওই অঞ্চলে Section 6 অনুসারে কারফিউ বলবৎ থাকবে। জনগণকে এই সময় এলাকায় প্রবেশ বা বাইরে বেরোনো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞা ঘিরেই ক্ষোভ (Nepal Protest)
বিক্ষোভের মূল কারণ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের উপর সরকারের (Nepal Protest) কড়াকড়ি। দেশের একটি বড় অংশ, বিশেষত তরুণ সমাজ, তাদের দৈনন্দিন জীবনে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলির উপর নির্ভরশীল। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে তারা প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে মনে করছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে একটা প্রবল অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। অনেকে সোশ্যাল মিডিয়াকে কেবল বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং শিক্ষা, ব্যবসা এবং ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। তাই এর উপর এমন আচমকা নিষেধাজ্ঞা তাঁদের জীবনে প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলেছে।
প্রশাসনের কড়া অবস্থান
সরকার যদিও এখনো স্পষ্ট করে জানায়নি যে নিষেধাজ্ঞা স্থায়ী হবে কি না, তবে এই বিক্ষোভ দেখিয়ে দিল যে, তরুণ প্রজন্ম এই সিদ্ধান্তকে সহজভাবে নিচ্ছে না। নিরাপত্তার কারণে সংসদ ভবন সহ আশপাশের এলাকায় পুলিশি প্রহরা বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং রাস্তায় টহল দিচ্ছে আধাসামরিক বাহিনীও।
নেপালের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এমনিতেই অনেকদিন ধরেই অস্থির। এই অবস্থায় সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা একটি নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। এখন দেখার বিষয়, প্রশাসন এই বিক্ষোভের পর কোনও সমঝোতার পথে হাঁটে কি না। তবে এই বিক্ষোভ এক বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছে-তথ্য ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে আপস করতে নারাজ নেপালের যুব সমাজ।