Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: নেপালে চলমান ছাত্র-যুব (Nepal Protest) বিক্ষোভ ও সহিংসতার আবহে প্রতিবেশী দেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে ভারতেও। নিরাপত্তার খাতিরে ভারত-নেপাল সীমান্ত আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। পাশাপাশি, সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি ও টহল।
কড়া সতর্কতা জারি (Nepal Protest)
ভারত ও নেপালের মধ্যে প্রায় ১,৭৫১ কিলোমিটার দীর্ঘ (Nepal Protest) উন্মুক্ত সীমান্ত রয়েছে। এই সীমান্ত উত্তরাখণ্ড, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একাধিক জেলা জুড়ে বিস্তৃত। নেপালে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, সহিংসতা এবং বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে এই পাঁচ রাজ্যেই সীমান্ত এলাকায় কড়া সতর্কতা জারি করেছে ভারত সরকার।
পুঙ্খানুপুঙ্খ তল্লাশি (Nepal Protest)
বিশেষ করে বিহার রাজ্যের সীমান্তবর্তী সাতটি (Nepal Protest) জেলায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পশ্চিম চম্পারণ, পূর্ব চম্পারণ, সীতামাড়ি, মধুবনী, কিষাণগঞ্জ, সুপৌল এবং আরারিয়া জেলাগুলিতে বাড়ানো হয়েছে সশস্ত্র সীমা বল (SSB) এবং বিহার পুলিশের টহল। সীমান্তে কেউ সন্দেহজনক গতিবিধি করলেই পুঙ্খানুপুঙ্খ তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
নেপালের পরিস্থিতির ওপর নজর (Nepal Protest)
উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ির পানিট্যাঙ্কি এলাকায়ও ভারত-নেপাল সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানেও বাড়ানো হয়েছে সতর্কতা। সশস্ত্র সীমা বলের মুখপাত্র ডিসি অমিত কুশওয়া জানিয়েছেন, “বর্তমানে সীমান্তে কোনও বড় ধরনের নিরাপত্তার হুমকি নেই, তবে আমরা সজাগ রয়েছি। নেপালের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। আশা করি দ্রুত সেদেশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।”
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি
নেপালে বর্তমানে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সমাজমাধ্যমের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। সোমবার ও মঙ্গলবার পরপর দু’দিন সহিংস বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে কাঠমান্ডু ও আশপাশের জেলা। মঙ্গলবার সকালে কার্ফু জারি করা হলেও, তা অমান্য করে রাস্তায় নেমে পড়ে হাজার হাজার তরুণ-তরুণী।
পদত্যাগের দাবি
প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের দাবিতে ফুঁসে উঠেছে গোটা দেশ। শুধু তাই নয়, প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌডেলের সরকারি বাসভবনে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। একইসঙ্গে ভাঙচুর চালানো হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল ‘প্রচণ্ড’-র বাড়িতেও। এই ঘটনাগুলি ঘিরে দেশের রাজনীতিতে তীব্র চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: Koel-Koushani: ফুচকা নিয়ে কোয়েল-কৌশানির চ্যালেঞ্জ, ক’টা ফুচকা খান দুই নায়িকা?
সোমবারের বিক্ষোভে অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর মিলেছে। এত তরুণ প্রাণের মৃত্যুর জন্য সরাসরি প্রধানমন্ত্রী ওলির দিকেই আঙুল তুলেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ও সাধারণ মানুষ। আন্তর্জাতিক মহল থেকেও নেপালের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।