Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পাহাড়, পর্বত আর প্রকৃতির টানে প্রতিবছর (Nepal Unrest) হাজার হাজার পর্যটক পাড়ি দেন নেপালে। বিশেষ করে পুজোর আগে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও উত্তর ভারতের বহু পর্যটকের প্রথম পছন্দ হয়ে ওঠে কাঠমান্ডু, পোখরা কিংবা লুম্বিনি। কিন্তু চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সেনা-শাসনের আবহে এবার নেপালের সেই পর্যটন সম্ভাবনায় কালো মেঘ জমেছে। অশান্তির আগুনে জ্বলছে ভারতের প্রতিবেশী দেশ। গতকালই ইস্তফা দিয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি আলি শর্মা। বিক্ষোভ, সংঘর্ষ ও কারফিউয়ের জেরে পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে অস্থির, যার প্রভাব সরাসরি এসে পড়েছে পর্যটন ও সীমান্ত বাণিজ্যে।
পর্যটনের উপর প্রভাব (Nepal Unrest)
ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ ট্যুর অপারেটর্সের (Nepal Unrest) রাজ্য সভাপতি দেবজিৎ দত্ত স্পষ্ট জানিয়েছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা পর্যটনের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর। তাঁর মতে, এই ধরনের ঘটনাকে পর্যটন শিল্পে “ফিজিক্যাল ফ্যাক্টর” বলা হয়, যা কোনও গন্তব্যের জনপ্রিয়তায় বড় প্রভাব ফেলে। “এখনই যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়, তাহলে নেপালে দীর্ঘমেয়াদি পর্যটন সংকট দেখা দেবে,” বলেন দেবজিৎ।
আগেভাগে বুকিং বাতিল (Nepal Unrest)
নেপালের প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ বরাবরই ছিল প্রবল-পৃথিবীর (Nepal Unrest) সর্বোচ্চ দশটি পর্বতের মধ্যে সাতটিই এই দেশে, রয়েছে ঐতিহাসিক কাঠমান্ডু, পশুপতিনাথ মন্দির, বৌদ্ধ ধর্মের পবিত্র স্থান লুম্বিনি। কিন্তু এখন সেই দেশই অশান্ত, সেনা টহলে জর্জরিত। ভ্রমণ সংস্থাগুলির কর্ণধাররা জানাচ্ছেন, বুকিং একপ্রকার বন্ধ। অনেকেই আগেভাগে বুকিং বাতিল করছেন। পর্যটকরা বারবার জানতে চাইছেন-“নেপাল এখন নিরাপদ তো?” ভ্রমণ সংস্থা চালক সৃঞ্জয় সেন জানালেন, “থাইল্যান্ড বর্ডারে হালকা গোলমাল হলেও মানুষ বুকিং নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যান। সেখানে নেপালের এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে পর্যটকরা স্বাভাবিকভাবেই যেতে ভয় পাচ্ছেন।”
আরও পড়ুন: Deepika Padukone: গ্ল্যামার দুনিয়ায় বিরক্ত! প্রথম জন্মদিনে মেয়েকে লুকোলেন দীপিকা
সীমান্ত বাণিজ্যেও ধস
শুধু পর্যটন নয়, সরাসরি প্রভাব পড়েছে ভারত-নেপাল সীমান্ত বাণিজ্যে। পানিট্যাঙ্কি সীমান্তে আটকে রয়েছে শত শত ট্রাক। ব্যবসা প্রায় বন্ধের মুখে। সীমান্ত ঘেঁষা ভারতের ছোট ছোট বাজারগুলো নেপালের উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে। কিন্তু নেপাল থেকে ক্রেতা না আসায় বিক্রি নেই, দোকানপাট বন্ধের মুখে। স্থানীয় ব্যবসায়ী দীনবন্ধু বর্মন বলেন, “নেপালের লোক না এলে আমাদের তো কিছুই বিক্রি হয় না। এখন লোকালি জিনিস কিনে ব্যবসা চালাতে হচ্ছে, তাও লাভ তো দূরের কথা, খরচই উঠছে না। ডালভাত জোটানোই মুশকিল হয়ে পড়েছে।”