Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও (Nepal Violence) নেতৃত্ব সংকটের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে কাকে আনা হবে, তা নিয়ে যখন দেশজুড়ে বিতর্ক চলছে, তখন কাঠমান্ডুর নির্দল মেয়র এবং জনপ্রিয় মুখ বলেন্দ্র শাহ তাঁর সমর্থন জানালেন সুশীলাকে। সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে বলেন্দ্র স্পষ্ট জানিয়েছেন, দেশের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বজায় রাখতে সুশীলা কার্কিই উপযুক্ত ব্যক্তি।
দূর থেকে সমর্থন! (Nepal Violence)
মাত্র ৩৫ বছর বয়সেই রাজনীতির ময়দানে বড় প্রভাবশালী (Nepal Violence) বলেন্দ্র মূলত পরিচিত ছিলেন র্যাপার এবং সুরকার হিসাবে। ২০০২ সালে নির্দল প্রার্থী হিসেবে কাঠমান্ডুর মেয়র নির্বাচিত হয়ে তিনি নজর কাড়েন রাজনৈতিক মহলের। যদিও সাম্প্রতিক ছাত্র-যুব আন্দোলনে তিনি সরাসরি যুক্ত ছিলেন না, তবে দূর থেকে সমর্থন জানিয়ে বরাবরই তরুণদের পাশে থেকেছেন।
প্রস্তাব করা হয় সুশীলা কার্কির নাম (Nepal Violence)
বুধবার নেপালের ছাত্র-যুব প্রতিনিধিরা একটি ভার্চুয়াল আলোচনায় বসেন (Nepal Violence) অন্তর্বর্তী সরকারের সম্ভাব্য প্রধান নির্বাচনের জন্য। বিভিন্ন জেলা থেকে অংশ নেওয়া প্রতিনিধিদের দীর্ঘ আলোচনার পর প্রস্তাব করা হয় সুশীলা কার্কির নাম। আন্দোলনকারীরা তাঁর সম্মতির জন্য ১,০০০ লিখিত স্বাক্ষর পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিলেন, তবে তার আগেই তাঁরা ২,৫০০-র বেশি স্বাক্ষর সংগ্রহ করে পাঠিয়ে দেন। এই ঘটনা থেকেই বোঝা যায়, তরুণ সমাজের এক বড় অংশ কতটা আস্থা রাখছেন কার্কির উপর।
অচিরেই সুশীলার নাম সরকারিভাবে ঘোষণা করতে পারে সেনা
এই প্রেক্ষাপটে নেপালের সেনাবাহিনীও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে। সূত্রের খবর, অচিরেই সুশীলার নাম সরকারিভাবে ঘোষণা করতে পারে সেনা। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে কাঠমান্ডু, ললিতপুর ও ভক্তপুরে কার্ফু জারি ছিল। বৃহস্পতিবার সেনার তরফে কিছুটা শিথিলতা আনা হয়। সকাল ৬টা থেকে ১০টা এবং বিকেল ৫টা থেকে ৬টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজনে মানুষজন বাইরে বেরোতে পারছেন। এই ঘোষণার পর থেকেই দোকানবাজারে কিছুটা স্বাভাবিকতা ফিরে এসেছে।
আরও পড়ুন: Lucky Zodiacs: এক দিনে চার শুভ তিথি! মা লক্ষ্মীর কৃপা, পিতৃ আশীর্বাদ ও কর্মক্ষেত্রে উন্নতির যোগ…
অন্যদিকে, পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির কমিউনিস্ট পার্টি ও জোটসঙ্গী নেপালি কংগ্রেস এক যৌথ বিবৃতিতে জানান, তারা চায় শান্তিপূর্ণ, সাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক উপায়ে বর্তমান সংকটের সমাধান হোক। বলেন্দ্র শাহ তাঁর পোস্টে বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার নতুন নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করবে এবং জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দেবে।” সেইসঙ্গে তিনি দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বকে ধৈর্য ও সংহতির বার্তাও দিয়েছেন।