ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: স্বাধীনতার খোঁজে নেতাজি ছেড়েছিলেন দেশ (Netaji and British Police)। নেতাজির এই দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার যাত্রা পথে ছিল একাধিক বিপদ। পদে পদে ছিল ব্রিটিশ পুলিশের হাতে ধরা পরার ভয়! কিন্তু সুপরিকল্পিত ভাবে নেতাজি ব্রিটিশ পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে ছিলেন। প্রায় দুই সপ্তাহ ব্রিটিশ পুলিশ জানতেই পারেনি নেতাজি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। এমনকি নেতাজির মা পর্যন্ত জানতেন না নেতাজি বাড়িতে নেই। স্বাধীনতার খোঁজে নেতাজি বিদেশ যাত্রা শুরু করে ছিলেন খুব গোপনে।
কেন জানতে পারেনি ব্রিটিশ পুলিশ? (Netaji and British Police)
নেতাজি দেশ ছাড়ছেন এই খবর এতই গোপন রাখা হয়েছিল যে নেতাজির মাও জানতেন না নেতাজি বাড়তে নেই (Netaji and British Police)। কেননা নেতাজি জন্য তাঁর মা খাবার পাঠাতেন। আর সেই খাবার খেয়ে যেতেন নেতাজির ভাইপো শিশির বোস। নেতাজির বাড়ির চারিদিকে সেই সময়ে মোতায়েন ছিল অসংখ্য ব্রিটিশ প্রহরী ও গুপ্তচর। তাদের চোখেও ফাঁকি দেওয়া মোটেই সহজ কাজ ছিল না
কিন্তু, সুপরিকল্পিত ভাবে ব্রিটিশ পুলিশের চোখে ধুলো দিয়েছিলেন নেতাজি (Netaji and British Police)। নেতাজি শিশির বোসকে বলেছিলেন ৩-৪ দিন তাঁর বাড়ি ছাড়ার খবর গোপন রাখতে পারলেই তাঁকে আর খুঁজে পাবে না ব্রিটিশ পুলিশ। কিন্তু, নেতাজির দেশ ছাড়ার খবর ব্রিটিশ প্রশাসন জানতে পেরেছিল ১২ দিন পরে।
কীভাবে জানতে পেরেছিল ব্রিটিশ? (Netaji and British Police)
নেতাজির কলকাতা থেকে কাবুলে যেতে সময় লেগেছিল ১৫দিন (Netaji and British Police)। আর নেতাজির দেশ ছাড়ার খবর ১২ দিন পর জানতে পারে ব্রিটিশ প্রশাসন। আসলে কলকাতা হাইকোর্টে ২৭ জানুয়ারি ১৯৪১-এ একটি মামলার শুনানি ছিল। যে মামলায় নেতাজির আদালতে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু নেতাজি সেদিন কলকাতা হাইকোর্টে উপস্থিত না হওয়ায় জানতে পারে ব্রিটিশ প্রশাসন।
আরও পড়ুন: Yogi Adityanath: মহাকুম্ভ অমৃতস্নান যোগী আদিত্যনাথের, সঙ্গম তিরে ডুব ক্যাবিনেটের ৫৪ জন সদস্যই
নেতাজির খোঁজে ব্রিটিশ গুপ্তচর
নেতাজি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন এই খবর জানতে পেরে একেবারে চিরুনি তল্লাশি শুরু করে ব্রিটিশ প্রশাসন। একাধিক গুপ্তচর নেতাজিকে নিয়ে একাধিক রিপোর্ট দিল। কোনো রিপোর্টে দাবি করা হল, নেতাজি কলকাতা থেকে জাহাজে জাপান যাচ্ছেন। সেই জন্য কলকাতা থেকে জাপানগামী সব জাহাজে তল্লাশি অভিযান চালায় ব্রিটিশ সরকার। কিন্তু, কোনো গুপ্তচর রিপোর্টই নেতাজির সঠিক খবর দিতে পারেনি। অবশেষে নেতাজির কাবুলে থাকার সন্ধান পায় ব্রিটিশ গুপ্তচর।
নেতাজিকে হত্যা করতে গুপ্তচর পাঠায় পারস্যে
নেতাজি কাবুলে রয়েছে এই খবর জানতে পেরে ব্রিটিশ প্রশাসন নেতাজিকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ব্রিটিশ গুপ্তচর জানতে পারে নেতাজি কাবুল থেকে পারস্য হয়ে জার্মানি যাবেন। কেননা জার্মানি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার পথ দিয়ে যাবেন না নেতাজি। কিন্তু, নেতাজি বেছে নিয়েছিলেন সেই বিপদ সংকুল পথটাই। রাশিয়ার পথ দিয়ে জার্মানিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন। যে কারণে পারস্যে মোতায়েন ব্রিটিশ গুপ্তচর আর ধরতে পারেনি নেতাজিকে।