Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ইয়েমেনে বন্দি কেরলের তরুণী নিমিশা (Nimisha Priya) প্রিয়ার ফাঁসি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। ১৬ জুলাই তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার কথা ছিল, তবে ইয়েমেনের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এখন সেটি কিছু দিনের জন্য স্থগিত রেখেছে। কত দিন পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ থাকবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
২০০৮ সালে ইয়েমেনে যান নিমিশা (Nimisha Priya)
২০০৮ সালে নার্স হিসেবে ইয়েমেনে যান কেরলের পালক্কাড় জেলার বাসিন্দা নিমিশা প্রিয়া (Nimisha Priya)। সেখানেই তিনি নিজের একটি ক্লিনিক খোলার স্বপ্ন দেখেন। তবে ইয়েমেনে বিদেশি নাগরিকদের ব্যবসা করতে হলে স্থানীয় একজনকে অংশীদার করতে হয়। সেই কারণে ২০১৫ সালে তিনি ইয়েমেনি নাগরিক তালাল মাহদির সঙ্গে যৌথভাবে একটি ক্লিনিক খোলেন।
কোনও সাহায্য পাননি নিমিশা (Nimisha Priya)
এরপর শুরু হয় নানা (Nimisha Priya) সমস্যা। অভিযোগ, মাহদি তাঁর টাকা ও পাসপোর্ট কেড়ে নেন, তাঁকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন এবং জোর করে মাদকও খাওয়ান। এমনকি তাঁকে নিজের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে নানা আইনি সুবিধাও আদায় করেন মাহদি। পুলিশের কাছে গেলেও কোনও সাহায্য পাননি নিমিশা।
মাহদিকে ঘুমের ইনজেকশন
অবশেষে, ২০১৭ সালের জুলাই মাসে নিমিশা মাহদিকে ঘুমের ইনজেকশন দেন। তাঁর দাবি, শুধু নিজের পাসপোর্ট ফিরে পাওয়ার জন্যই তিনি মাহদিকে অজ্ঞান করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ইনজেকশনের মাত্রা বেশি হওয়ায় মাহদির মৃত্যু হয়। পরে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে জলের ট্যাঙ্কে লুকিয়ে ফেলেন নিমিশা ও তাঁর এক সহকর্মী। দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করার সময় তাঁকে গ্রেফতার করে ইয়েমেনের পুলিশ।
আবেদন খারিজ হয়ে যায়
২০১৮ সালে ইয়েমেনের আদালত নিমিশাকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে। তারপর থেকেই তাঁর পরিবার ও ভারত সরকার তাঁকে বাঁচানোর নানা প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। সুপ্রিম কোর্টেও সাজা কমানোর আবেদন করা হয়েছিল, তবে তা খারিজ হয়ে যায়।

মৃত্যুদণ্ড কিছুদিনের জন্য স্থগিত
পরিবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টেও যায়, যাতে কেন্দ্র সরকার বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দেয়, ইয়েমেনের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, ফলে কিছু করার ক্ষমতা তাদের নেই। তবে পরিবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, মামলার বিপরীত পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছনোর চেষ্টা চলছে। এই কারণেই হয়তো ইয়েমেন সরকার মৃত্যুদণ্ড কিছুদিনের জন্য স্থগিত করেছে।
আরও পড়ুন: Calorie Tracking App: ক্যালোরি মাপছে অ্যাপ, কিন্তু কতটা নির্ভরযোগ্য?
এই ঘটনায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতীয় বন্দিদের নিরাপত্তা ও অধিকার। আপাতত নিমিশার পরিবার একটু স্বস্তি পেলেও, পুরোপুরি মুক্তির লড়াই এখনও অনেক দূরের।