ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বড়বাজারে আগুন লাগার ঘটনার পর শহরে আর কোনও রকম রুফটপ (Rooftop Restaurants) রেস্তরাঁ করা যাবে না সাফ জানিয়ে দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। রাজ্য সরকার যে কমিটি গঠন করেছে, তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত পুরোপুরি বন্ধ থাকবে যাবতীয় রুফটপ রেস্তরাঁ। শুক্রবার থেকেই সব রুফটপ রেস্তরাঁ বন্ধের নির্দেশ দিল কলকাতা পুরনিগম। বড়বাজারের অগ্নিকাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন ভবিষ্যতে যাতে এধরনের ঘটনা আর না ঘটে সে বিষয়ে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে।
নোটিফিকেশনও ইতিমধ্যেই জারি (Rooftop Restaurants)
এদিন বৈঠকে বসে পুলিশ, দমকল ও পুরনিগম। আর এই আলোচনার পরই শুক্রবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে দেন, পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত শহরের যাবতীয় রুফটপ রেস্তরাঁ (Rooftop Restaurants) বন্ধ রাখতে হবে। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফিরহাদ জানিয়েছেন, আপাতত ছাদের জায়গা কমানো হয়েছে। নোটিফিকেশনও ইতিমধ্যেই জারি হয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে যে যে রেস্তরাঁ চালু রয়েছে তাও আপাতত পুরোপুরি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
‘রেস্তরাঁগুলোকে নোটিস পাঠিয়ে দেব’ (Rooftop Restaurants)
মেয়র জানান, “পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মাকে অনুরোধ করেছি, যাতে তিনি সমস্ত রুফটপ রেস্তরাঁর নামের তালিকা দেন। আমরা রেস্তরাঁগুলোকে নোটিস পাঠিয়ে দেব।” তিনি জানিয়েছেন বড়বাজারে যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল, সেই বিষয়টা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, সিঁড়ির মতো ছাদও কারও একার নয়, বিক্রি করা যাবে না। এদিনের বৈঠকের পরই এনিয়ে নির্দেশিকা জারি করে পুরনিগম (Rooftop Restaurants)।
হোটেলের সুরক্ষা ব্যবস্থায় নানা গাফিলতি
মঙ্গলবার রাতে বড়বাজারের মেছুয়ার ফলপট্টির ওই হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকেই হোটেলের সুরক্ষা ব্যবস্থায় নানা গাফিলতি প্রকাশ্যে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, হোটেলে দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। হোটেলের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। বুধবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দমকলের ডিজি রণবীর কুমার জানান, ওই হোটেলের ‘ফায়ার লাইসেন্স’-এর মেয়াদ শেষ হয়েছিল তিন বছর আগেই। তার পর তা আর নবীকরণ করেনি হোটেল কর্তৃপক্ষ। হোটেলে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা থাকলেও অগ্নিকাণ্ডের সময় সেটি কাজ করেনি।
অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা কার্যকর ছিল না
দমকলের প্রাথমিক অনুমান, আদৌ অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা কার্যকর ছিল না ওই হোটেলে। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের সময় হোটেলে ‘ফায়ার অ্যালার্ম’ও বাজেনি। হোটেলের দোতলায় প্লাইউডের কাজ চলছিল, সেখান থেকেই আগুন লেগেছে বলে মনে করছেন দমকল আধিকারিকরা। অতিরিক্ত ধোঁয়া থাকায় তিনতলা কিংবা চারতলায় থাকা আবাসিকেরা হোটেলের নীচে নামতে পারেননি।