ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ বলেছেন (North Korea Man cross border to South) যে সামরিক বাহিনী সামরিক সীমারেখার মধ্য-পশ্চিম অংশের কাছে ওই ব্যক্তিকে সনাক্ত এবং ট্র্যাক করেছে এবং তাকে হেফাজতে নেওয়ার আগে একটি “গাইডিং অভিযান” পরিচালনা করেছে।
সীমান্তে উত্তেজনার মাঝেই রহস্যময় অনুপ্রবেশ (North Korea Man cross border to South)
এক অজ্ঞাতপরিচয় উত্তর কোরিয় ব্যক্তি কোরিয়া উপদ্বীপের কাঁটাতারে ঘেরা কড়াকড়িভাবে নিরাপত্তাবেষ্টিত সীমান্ত অতিক্রম করে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করেছেন (North Korea Man cross border to South)। শুক্রবার ৪ জুলাই দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী এই তথ্য জানিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ (JCS) জানায়, সেনাবাহিনী ওই ব্যক্তিকে মধ্য-পশ্চিম সীমান্ত বরাবর সামরিক বিভাজন রেখার কাছে শনাক্ত করে এবং তাকে নজরে রেখে গাইডিং অপারেশন করে বৃহস্পতিবার ৩ জুলাই, রাতে হেফাজতে নেয়।
তারা জানায়, এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না এটি পলায়নের চেষ্টা ছিল কি না। বিষয়টি তদন্তের আওতায় রয়েছে। এই ঘটনার বিষয়ে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জাতিসংঘ কমান্ডকে জানানো হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার দিক থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো অস্বাভাবিক সেনা কার্যকলাপ দেখা যায়নি।
মাইনবিক্ষিপ্ত ডিমিলিটারাইজড জোন পেরিয়ে নিরাপদে উদ্ধার (North Korea Man cross border to South)
জয়েন্ট চিফস জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সেনারা প্রথমে ওই নিরস্ত্র উত্তর কোরিয় ব্যক্তিকে শনাক্ত করে (North Korea Man cross border to South)। এরপর নিজেদের পরিচয় দিয়ে তাকে নিরাপদে কাঁটাতার ও মাইনবিক্ষিপ্ত ডিমিলিটারাইজড জোন পেরিয়ে উদ্ধার করে। এই অঞ্চলে গত কয়েক মাস ধরে দুই কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। একদিকে উত্তর কোরিয়া হাজার হাজার আবর্জনাভর্তি বেলুন দক্ষিণে পাঠাচ্ছে, অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়া উত্তর-বিরোধী প্রচার চালাচ্ছে লাউডস্পিকারে।
নতুন প্রেসিডেন্টের শান্তিপ্রয়াস
গত মাসেই দায়িত্ব নিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার উদারপন্থী নতুন প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়াং। তিনি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা করছেন। এর অংশ হিসেবে সীমান্ত এলাকায় লাউডস্পিকারের প্রচার বন্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সীমান্ত পার হয়ে উত্তরবিরোধী প্রচারপত্র পাঠানো নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া চলছে।
সীমান্তে আগেও ঘটেছে অনুপ্রবেশ
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে প্রায় ১০ জন উত্তর কোরিয় সেনা সামরিক বিভাজন রেখা অতিক্রম করলে দক্ষিণ কোরিয়া সতর্কতামূলক গুলি ছোঁড়ে। কোনো সংঘর্ষ ছাড়াই উত্তর কোরিয় সেনারা নিজেদের এলাকায় ফিরে যায়। গত বছর জুনেও উত্তর কোরিয়ার সেনারা তিনবার সীমান্ত অতিক্রম করে। দক্ষিণ কোরিয়া তখনও সতর্কতামূলক গুলি চালায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে সীমান্তে মাইন পোঁতা, ট্যাঙ্ক-প্রতিরোধক ব্যারিকেড বসানোসহ প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করার সময়ই হয়তো এসব অনুপ্রবেশ ঘটে।
বন্ধ হয়ে যাওয়া কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ও পারমাণবিক হুমকি
২০১৯ সালে ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ং-এর মধ্যে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ আলোচনার ভেস্তে যাওয়ার পর থেকেই দুই কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থবির। এরপর থেকেই উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন তাঁর পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি জোরদার করেন এবং ওয়াশিংটন ও সিওলের বিরুদ্ধে পারমাণবিক সংঘাতের হুমকি দেন। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার আগের রক্ষণশীল সরকার আমেরিকা ও জাপানের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া বাড়ায়। উত্তর কোরিয়া একে হামলার প্রস্তুতি বলে সমালোচনা করে।