ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে পুলিশের এনকাউন্টারে নিহত কুখ্যাত গ্যাংস্টার রোমিল ভোরা(Romil Vohra)। মঙ্গলবার ভোরে এনকাউন্টার হয়। একাধিক খুন, অবৈধ কারবার,তোলাবাজি এবং অস্ত্র মামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রোমিল।অভিযানে আহত হয়েছেন দিল্লি পুলিশের দুই সাব-ইনস্পেক্টর। তাঁদেরকে উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁদের।
দিল্লি পুলিশের এনকাউন্টার (Romil Vohra)
সূত্রের খবর, দিল্লি পুলিশ এনকাউন্টারটি পরিচালনা করে(Romil Vohra)।পুলিশ বেশ কয়েক দিন ধরেই রোমিলের উপর নজর রাখছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় অভিযানে যায় দিল্লি পুলিশ। চারিদিক থেকে তাকে ঘিরে ফেলা হয়। এরপরেই রোমিলের সঙ্গে পুলিশকর্মীদের ব্যাপক গুলির লড়াই শুরু হয়।পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালান রোমিল। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। তখনই গুলিবিদ্ধ হন রোমিল। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।অভিযানে গুরুতর আহত হন সাব-ইন্সপেক্টর প্রবীণ এবং রোহন।তাঁরা কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের অংশ ছিলেন। পরে তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার প্রেক্ষিতে হরিয়ানা সরকার ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে।

কে রোমিল ভোরা? (Romil Vohra)
২০ বছর বয়সি রোমিল ভোরা হরিয়ানার যমুনানগরের কাসাপুরের বাসিন্দা ছিল(Romil Vohra)। সে কালা রানা-ননি রানা দলের সক্রিয় সদস্য ছিল। এই দল লরেন্স বিষ্ণোই এবং গোগির দলের সঙ্গে মিলে উত্তর ভারতে অনেক গুরুতর অপরাধ করেছে। রোমিল ভোরার বিরুদ্ধে খুন, তোলাবাজি এবং অবৈধ অস্ত্র রাখার মতো অনেক গুরুতর অভিযোগ ছিল। খুন ও অবৈধ জুলুম সহ একাধিক অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে রোমিলকে খুঁজছিল পুলিশ। সম্প্রতি ১৪ জুন কুরুক্ষেত্রের এক মদ ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করে সে। যমুনানগরে সংঘটিত একটি ট্রিপল মার্ডার মামলায়ও ভোরাকে খুঁজছিল পুলিশ। হরিয়ানা পুলিশের কাছ থেকে সীমান্তবর্তী এলাকায় ভোরার উপস্থিতির খবর পায় পুলিশ।
আরও পড়ুন-Air India: মাঝ আকাশে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে যাত্রী-ক্রুরা! ফের শিরোনামে এয়ার ইন্ডিয়া
পুলিশের প্রতিক্রিয়া (Romil Vohra)
দিল্লির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (স্পেশ্যাল সেল) প্রমোদ সিং কুশওয়াহা জানিয়েছেন, দিল্লির পুলিশের খাতায় ‘ওয়ান্টেড’ ছিল রোমিল(Romil Vohra)। তাঁর বিরুদ্ধে দিল্লিতে অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে। হরিয়ানা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর কাছ থেকে দিল্লি পুলিশ খবর পায়, রাজধানীতে অপরাধমূলক কাজ করতে যাচ্ছে রোমিল। সেই খবর পেয়েই দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় পৌঁছে যায় দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল। কিষাণগড় থানার কাছে রোমিলের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে পুলিশ। নাকাতল্লাশি দেখেই গাড়ি ঘুরিয়ে পালানোর চেষ্টা করে রোমিল। পুলিশও তাড়া করে। সেই সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় রোমিল। পাল্টা জবাব দেয় পুলিশও।হকার জেরে গুলিবিদ্ধ হয় রোমিল। দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে দুই পুলিশকর্মী আহত হন।

আরও পড়ুন-Middle East: রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সমাপ্তি! মধ্যপ্রাচ্যে ফের বিমান পরিষেবা চালু এয়ার ইন্ডিয়ার
পুলিশের পরবর্তী পদক্ষেপ (Romil Vohra)
পুলিশ জানিয়েছে, রোমিল ভোরার মৃত্যু কালা রানা-ননি রানা দলের জন্য নিঃসন্দেহে একটি বড় ধাক্কা(Romil Vohra)। এই দলটি উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সক্রিয় এবং একাধিক অপরাধে জড়িত।রোমিল ভোরা চলতি বছরের ১৪ জুন যমুনানগরের শাহাবাদের ব্যবসায়ী শান্তনু থেকেরাকে খুন করে। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে ননি রানার দল শান্তনুর হত্যার দায় স্বীকার করে নেয়। এই পোস্টে কালা রানা দল, লরেন্স বিষ্ণোই দল, জিতেন্দ্র মান (গোগি গ্রুপ) এবং রাজন জাট শাহাবাদের নাম ট্যাগ করা হয়েছিল। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর যমুনানগরের চারজনকে গুলি করে খুন করে রোমিল।
