ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দিনহাটা, মাথাভাঙ্গার পর এবার তুফানগঞ্জ(Tufanganj)মহকুমার বাঁশরাজা এলাকাতেও পৌঁছালো এনআরসি নোটিশ(NRC Notice)। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা মহকুমাজুড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁশরাজার বাসিন্দা মমিনা বিবির নামে একটি এনআরসি নোটিশ এসে পৌঁছেছে, যা পাঠানো হয়েছে অসম রাজ্যের ধুবড়ি জেলা থেকে।
তুফানগঞ্জে এনআরসি নোটিশ(NRC Notice)
জানা গেছে, মমিনা বিবি বর্তমানে তুফানগঞ্জের বাঁশরাজা এলাকায় বসবাস করলেও তার প্রথম বিবাহ হয়েছিল প্রায় ৪৫ বছর আগে, ধুবড়ি জেলার আগমনী এলাকার বাসিন্দা জহির মিয়ার সঙ্গে। বিয়ের এক বছর পর স্বামীকে নিয়ে তুফানগঞ্জে চলে আসেন মমিনা। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে সংসার বিচ্ছেদ ঘটে এবং স্বামী অসমে ফিরে যান। এরপর মমিনা বিবি বাঁশরাজাতেই দ্বিতীয় বিবাহ করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। বর্তমানে তিনি তার দুই সন্তানকে নিয়ে তুফানগঞ্জেই বসবাস করছেন। তবে অভিযোগ, গত এক বছরে প্রায় তিনবার তার নামে এনআরসি নোটিশ এসেছে। যদিও তার দাবি, অসমের তিনি ভোটার নন, এমনকি কোনোদিন সেখানে তার ভোটার কার্ড বা আইডেন্টিটি সংক্রান্ত কোনো নথিও ছিল না।
রাজনৈতিক মহলে শুরু তরজা(NRC Notice)
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তরজা। তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি মানিক বর্মণ বলেন, “অসম সরকার যেভাবে পশ্চিমবঙ্গের নিরীহ মানুষদের হেনস্তা করছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। মমিনা বিবির মতো বহু সাধারণ মানুষকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভয় দেখানোর চেষ্টা চলছে।”
আরও পড়ুন: WBJEE Result: রাজ্য জয়েন্টের ফল কবে প্রকাশ হবে? কী জানাল বোর্ড?
পাল্টা প্রতিক্রিয়া বিজেপির
অন্যদিকে এই ঘটনার পাল্টা প্রতিক্রিয়া বিজেপির। তুফানগঞ্জের বিজেপি নেতা উজ্জ্বল কান্তি বসাক বলেন, “এই রাজ্যে ভুয়ো ভোটার কার্ড, আধার কার্ড ও নানান ভুয়ো সার্টিফিকেট তৈরি করার এক কারখানা চলছে সরকারি প্রশ্রয়ে। এই নোটিশ(NRC Notice)আদৌ আসল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।”
আরও পড়ুন: Lakshmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, আজীবন নিশ্চিন্ত পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসীর মধ্যে বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। মমিনা বিবির মত সাধারণ মানুষের ওপর এমন আচরণের প্রতিবাদে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের।