Last Updated on [modified_date_only] by Debu Das
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দেশের ভবিষ্যৎ যুদ্ধপ্রস্তুতি ও সামরিক শক্তি আধুনিকায়নের লক্ষ্যে একটি ১৫ বছরের প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে (Nuclear Propulsion)। এই পরিকল্পনার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), হাইপারসনিক প্রযুক্তি, সাইবার প্রতিরক্ষা, মহাকাশ যুদ্ধব্যবস্থা এবং নেক্সট-জেনারেশন যুদ্ধ কৌশল। এর মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনাকে আগামী কয়েক দশকের পরিবর্তিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত করা হবে।
অপারেশন সিন্ধুর পর নতুন দিশা (Nuclear Propulsion)
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের অপারেশন সিন্ধুর চার মাস পরেই এই প্রতিরক্ষা নকশা প্রকাশ করা হল(Nuclear Propulsion)। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মতে, এ পরিকল্পনা কেবল অস্ত্র ক্রয় নয়, বরং দেশীয় প্রযুক্তির সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত করবে। এর ফলে যুদ্ধক্ষেত্রে ভারতীয় বাহিনী আরও দ্রুত, কার্যকরী এবং আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে।
সেনাবাহিনীর অগ্রাধিকার(Nuclear Propulsion)
পরিকল্পনা অনুযায়ী স্থলসেনার জন্য প্রস্তাবিত আধুনিক সরঞ্জাম—
- ১,৮০০-এর বেশি মেইন ব্যাটল ট্যাঙ্ক
- ৪০০ হালকা ট্যাঙ্ক
- ৬ লক্ষ আর্টিলারি রাউন্ড
- বিভিন্ন ধরনের মানববিহীন এয়ার সিস্টেম (UAS)
এইসব আধুনিক সরঞ্জাম সেনাবাহিনীকে সীমান্তে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষমতা দেবে।
নৌবাহিনীর রূপরেখা (Nuclear Propulsion)
ভারতীয় নৌবাহিনীর (INDIAN ARMY) জন্য প্রস্তাবিত হয়েছে—
- ১টি বিমানবাহী রণতরী
- ১০টি নেক্সট-জেনারেশন ডেস্ট্রয়ার
- ১০টিরও বেশি ল্যান্ডিং প্ল্যাটফর্ম
- উন্নত প্রযুক্তির হেলিকপ্টার
নৌবাহিনীর জন্য বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে আণবিক শক্তিচালিত জাহাজ তৈরিতে, যা ভারতকে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আরও শক্তিশালী অবস্থান দেবে(Nuclear Propulsion)।

আরও পড়ুন : US Tariff War : ট্রাম্পের শুল্কনীতি নিয়ে জটিল আইনি লড়াই! নয়া নীতিতে ক্ষতি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের?
বায়ুসেনার ভবিষ্যৎ কৌশল
বায়ুসেনার আধুনিকীকরণ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে—
- ২০টি স্ট্র্যাটোস্ফেরিক এয়ারশিপ
- ৩৫০ মাল্টি-মিশন ড্রোন
- স্টেলথ UCAVs
- হাই-পাওয়ার লেজার সিস্টেম
- ডিরেক্টেড-এনার্জি অস্ত্র
এসব প্রযুক্তি আকাশপথে নজরদারি ও আক্রমণ ক্ষমতাকে বহুগুণে বৃদ্ধি করবে(Nuclear Propulsion)।
আধুনিক যুদ্ধের নতুন রূপ
এই পরিকল্পনায় গুরুত্ব পেয়েছে সাইবার প্রতিরক্ষা, স্যাটেলাইট-ভিত্তিক যোগাযোগ, ইলেকট্রনিক ডিনায়াল জোন এবং অ্যান্টি-স্বর্ম ড্রোন প্রযুক্তি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ভাষায়, আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্র এখন আর শুধু স্থল-জল-আকাশে সীমাবদ্ধ নয়; বরং তথ্যযুদ্ধ, মহাকাশ প্রযুক্তি এবং সাইবার আক্রমণই যুদ্ধের ভবিষ্যৎ রূপ।
আরও পড়ুন : DRDO : সরকারি ও বেসরকারি সংস্থারকে রাডোম-সহ 3 টি প্রযুক্তি হস্তান্তর ডিআরডিও
মেক ইন ইন্ডিয়ার উপর জোর (Nuclear Propulsion)
প্রতিরক্ষা পরিকল্পনায় উল্লেখ করা হয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তি অর্জনের পাশাপাশি দেশীয় শিল্পকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বই এই পথচলার মূল চাবিকাঠি হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক স্পষ্ট জানিয়েছে, ভারতের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বক্তব্য
মন্ত্রকের নথিতে বলা হয়েছে—
“আজকের যুদ্ধক্ষেত্রে প্রযুক্তির বিপ্লব অভূতপূর্ব(Nuclear Propulsion)। রোবোটিক্স, এআই এবং তথ্য প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি আগামী দিনে যুদ্ধক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাবে। ভারত যখন আরও বড় দায়িত্ব ও চ্যালেঞ্জ নিতে চলেছে, তখন সশস্ত্র বাহিনীকে উপযুক্তভাবে সজ্জিত করা অত্যন্ত জরুরি।”
আরও পড়ুন : Vande Bharat Sleeper Train : বিহারে ভারতের প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার এক্সপ্রেস! উদ্বোধন সেপ্টেম্বরেই
১৫ বছরের এই প্রতিরক্ষা রূপরেখা শুধু সামরিক শক্তি বৃদ্ধি নয়, বরং ভারতকে একবিংশ শতাব্দীর নতুন যুদ্ধক্ষেত্রে আত্মনির্ভর করে তোলার লক্ষ্য নিয়েই তৈরি হয়েছে। স্থল, নৌ ও বায়ুসেনার পাশাপাশি সাইবার ও মহাকাশ প্রতিরক্ষায় আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।