ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ১৩ বছরের (Odisha Minor Girl Assault Case) এক কন্যার জীবনে নেমে এসেছিল অন্ধকার। ওড়িশার কন্ধমাল জেলার এই নাবালিকাকে এক যুবক একাধিকবার ধর্ষণ করে। ভয় ও লজ্জায় সে এই ঘটনা কারও কাছে প্রকাশ করতে পারেনি।
অবশেষে গর্ভপাতের অনুমতি (Odisha Minor Girl Assault Case)
কিন্তু ধর্ষণের পরিণতি হিসেবে সে অন্তঃসত্ত্বা (Odisha Minor Girl Assault Case) হয়ে পড়ে। প্রায় সাত মাস গর্ভধারণের পর ওড়িশা হাই কোর্ট তাকে গর্ভপাতের অনুমতি দেয়। আদালতের রায়ে উল্লেখ করা হয়, কিশোরীর সিকল সেল অ্যানিমিয়া এবং মৃগীরোগের মতো জটিল শারীরিক সমস্যা রয়েছে, যা প্রসবকালে তার জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে গর্ভপাতের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও আদালত তার পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়।
গর্ভধারণের সময়সীমা ২৪ সপ্তাহ অতিক্রান্ত (Odisha Minor Girl Assault Case)
ভারতের গর্ভপাত আইন অনুযায়ী, সাধারণত ২০ সপ্তাহের বেশি (Odisha Minor Girl Assault Case) গর্ভধারণের পর গর্ভপাত করতে হলে আদালতের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। তবে ধর্ষণ বা নাবালিকার ক্ষেত্রে এই সীমা ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়ানো যায়। এই মামলায় কিশোরীর গর্ভধারণের সময়সীমা ২৪ সপ্তাহ অতিক্রম করলেও আদালত মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন: Kangana-Shama Controversy: ‘ধোবি কা কুত্তা’ রোহিতকে অপমানের জের, কঙ্গনা-শামা বিতর্ক তুঙ্গে!
মৌলিক অধিকার
আদালতের মতে, সংবিধানের ২১তম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রতিটি ব্যক্তির মৌলিক অধিকার রয়েছে। কোনো শিশুকে জোর করে জন্ম দেওয়া তার অধিকার লঙ্ঘনের শামিল। এছাড়াও, আদালত নারীদের প্রজনন অধিকারের উপর জোর দিয়েছে, যা এই রায়ের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে।