ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ঘুম থেমে উঠলেই মুখ ভরপুর তেলে পূর্ণতা পায় (Oily skin)। এত তেল যে মাঝে মধ্যেই আপনার মনে হয় ‘এই তেল দিয়ে রান্না করা যাবে? বন্ধুরা কিংবা আত্মীয়-স্বজনরা বলে, এই তেলে মাছও ভাজা যাবে। এইসমস্ত কথা বলে সকলে ভীষণ হাসে, আর আপনি কষ্ট পান। কিন্তু আর না।
তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা থেকে একদিনে মুক্তি সম্ভব নয়। তার জন্য প্রয়োজন ত্বকের সঠিক যত্ন। তার উপরেই নির্ভর করে ত্বকের যত্নের অনেকটা। বিশেষ করে সকালে উঠে কিছু কাজ নিয়মিত করলে মুক্তি পাওয়া যায় এই সব সমস্যার হাত থেকে।

কী কী করবেন (Oily skin)
যাঁদের তৈলাক্ত ত্বক আছে তাঁরা অনেকেই ভোগেন ব্রণ, দাগ, বড় হয়ে যাওয়া রোমকূপ বা আরও নানা সমস্যায়। সময়ের সঙ্গে গভীর ক্ষত হয়ে বসে যায় দাগ। তাই এইসব সমস্যা সমাধান একটাই, তা হল ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল নিঃস্বরণ বন্ধ করা।
১। কোমল অয়েল-ফ্রি ক্লিনজার ব্যবহার করুন
২। টোনার লাগিয়ে তেলের ভারসাম্য বজায় রাখুন
৩। হালকা সেরাম ব্যবহার করুন
৪। অয়েল-ফ্রি জেল ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন
৫। সানস্ক্রিন একদম বাদ দেবেন না
তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা থেকে একদিনে মুক্তি সম্ভব নয়। তার জন্য প্রয়োজন ত্বকের সঠিক যত্ন। তার উপরেই নির্ভর করে ত্বকের যত্নের অনেকটা। বিশেষ করে সকালে উঠে কিছু কাজ নিয়মিত করলে মুক্তি পাওয়া যায় এই সব সমস্যার হাত থেকে।
কী কী করবেন? রইল সেই টিপস (Oily skin)
সকাল শুরু করুন একটি কোমল, অয়েল-ফ্রি ক্লিনজার দিয়ে। এটি ত্বকের তেল, ময়লা ও ঘাম দূর করে, কিন্তু ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা নষ্ট করে না। প্রোডাক্ট কেনার সময় সালিসাইলিক অ্যাসিড বা টি-ট্রি অয়েলযুক্ত ক্লিনজার বেছে নিন। রোমকূপ পরিষ্কার করে এবং ব্রণ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
টোনার ব্যবহার করলে ত্বকের pH ব্যালান্স থাকে ও রোমকূপ সংকুচিত হয়। অ্যালকোহল-মুক্ত টোনার বেছে নিন, যাতে উইচ হ্যাজেল বা নিয়াসিনামাইড থাকে—এগুলি তেল নিয়ন্ত্রণ ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, ত্বক শুকিয়ে না ফেলে।
হালকা সেরাম ব্যবহার করুন যাতে নিয়াসিনামাইড, হায়ালুরনিক অ্যাসিড বা জিঙ্ক থাকে। এগুলি তেল নিয়ন্ত্রণ, আর্দ্রতা বজায় রাখা ও ব্রণ বা লালচেভাব কমাতে সাহায্য করে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভারী বা তেলযুক্ত সেরাম এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ তা রোমকূপ বন্ধ করতে পারে।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court : নবান্ন অভিযান মামলার রায়দান,আইন মেনে অভিযানে সম্মতি হাইকোর্টের
তৈলাক্ত ত্বক হলেও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা খুবই জরুরি। নন-কমেডোজেনিক, অয়েল-ফ্রি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন, যা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখবে কিন্তু বাড়তি তেল ও উজ্জ্বলতা দেবে না। অ্যালোভেরা বা গ্রিন-টি-যুক্ত জেল ময়েশ্চারাইজারও বেছে নিতে পারেন।
ব্রড-স্পেকট্রাম SPF ৩০ বা তার বেশি ব্যবহার করুন, বিশেষত ম্যাট-ফিনিশ সানস্ক্রিন। তৈলাক্ত বা ব্রণপ্রবণ ত্বকের জন্য অয়েল-ফ্রি ফর্মুলা বেছে নিন। সানস্ক্রিন ত্বককে কালো দাগ, সূর্যের ক্ষতি ও অকাল বার্ধক্য থেকে রক্ষা করে।