ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পহেলগাঁওয়ের ভয়াবহ জঙ্গি হানায় (Omar Abdullah) পর্যটকদের প্রাণহানির দায় নিজের কাঁধে নিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। সোমবার বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশনে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই ঘটনার পর নিজের কর্তব্য পালন করতে না পারার জন্য তিনি গভীরভাবে দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। বিধানসভায় সর্বসম্মতভাবে পাশ হয় পহেলগাঁও কাণ্ডের নিন্দাপ্রস্তাব।
বেপরোয়া জঙ্গি হামলা (Omar Abdullah)
গত সপ্তাহে বৈসরন উপত্যকায় পর্যটকদের লক্ষ্য করে চালানো (Omar Abdullah) হয় বেপরোয়া জঙ্গি হামলা। প্রাণ হারান ২৫ জন পর্যটক ও এক স্থানীয় বাসিন্দা। গোটা দেশ স্তব্ধ হয়ে যায় এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডে। বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ওমর আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, “এই ঘটনার অভিঘাত শুধু আমাদের রাজ্যে নয়, সারা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এত বড় আকারের হামলা বিগত দুই দশকে দেখিনি। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব ছিল, যা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছি।”
ওমরের দায় স্বীকার (Omar Abdullah)
উল্লেখযোগ্যভাবে, জম্মু ও কাশ্মীর এখন একটি (Omar Abdullah) কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। ফলে নিরাপত্তার প্রধান দায়িত্ব রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর, যা পরিচালিত হয় স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে। পুলিশ প্রশাসনও লেফটেন্যান্ট গভর্নরের অধীন। তবুও, একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসাবে ওমরের এই দায় স্বীকার বিরল এবং তা রাজনৈতিক মহলেও প্রশংসিত হয়েছে।
আতঙ্কের মুহূর্তে পর্যটকদের পাশে
বিধানসভায় ওমর আবদুল্লা বিশেষভাবে স্মরণ করেন স্থানীয় সহিস সৈয়দ আদিলের কথা, যিনি নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গিদের সামনে রুখে দাঁড়ান এবং অনেক পর্যটকের জীবন বাঁচান। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “আদিল পালিয়ে যেতে পারতেন, কিন্তু তিনি বীরত্ব দেখিয়েছেন। তাঁর আত্মত্যাগ শ্রদ্ধার যোগ্য।” এছাড়াও স্থানীয় ব্যবসায়ী ও অন্যান্য সহিসদের ভূমিকাও তিনি তুলে ধরেন, যারা আতঙ্কের মুহূর্তে পর্যটকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।

রাজনৈতিক প্রসঙ্গ থেকে নিজেকে বিরত রাখার কথা
বিধানসভায় এই আলোচনা এবং নিন্দাপ্রস্তাবের সময়ে, মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক প্রসঙ্গ থেকে নিজেকে বিরত রাখার কথা বলেন। তিনি স্পষ্ট জানান, এমন ভয়াবহ ঘটনার পর তাঁরা রাজ্যের পূর্ণ মর্যাদা নিয়ে কোনও দাবি বা রাজনীতি করবেন না। “২৬টি মৃতদেহের উপর দাঁড়িয়ে রাজ্যের দাবি তোলা শোভা পায় না,” বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: US On Pahalgam : এক সুরে চিন-আমেরিকা! পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর কাছাকাছি দুই “সুপার পাওয়ার”?
এই ঘটনা ফের একবার জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার বাস্তব চিত্র তুলে ধরল। সাধারণ মানুষ যেমন শোকাহত, তেমনই প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনিক সমন্বয় ও জবাবদিহি নিয়েও।