Last Updated on [modified_date_only] by Anustup Roy Barman
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভারতের প্রত্যাঘাতে তছনছ হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের একাধিক সেনাঘাঁটি (Operation Sindoor)। সেই ভিডিও প্রকাশ করেছে সেনাবাহিনী। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ২৬ নিরীহ মানুষকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এরপরেই গত ৭ মে অপরেশন সিঁদুর স্ট্রাইক চালায় ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান ও পিওকে-র নয়টি জঙ্গিঘাঁটি। এরপর ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির জনবহুল এলাকা এবং সেনাঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তান। সেই হামলা প্রতিহত করার সঙ্গে প্রত্যাঘাত করে ভারত।
এয়ার মার্শাল এ কে ভারতীর ব্যাখ্যা (Operation Sindoor)
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী বলেন, ‘আমাদের লড়াই ছিল জঙ্গিদের বিরুদ্ধে (Operation Sindoor)। পাকিস্তানের সেনার সঙ্গে নয়। কিন্তু আফশোস হল, পাক সেনা জঙ্গিদের হয়ে ময়দানে নেমে পড়ল। জঙ্গিদের পাশে দাঁড়ানোটাই ঠিক বলে মনে করল।’ ভারতের হামলায় পাকিস্তানের নূর খান এয়ারবেস, রহিমিয়ার খান এয়ারবেসে কতটা ক্ষতি হয়েছে, ভিডিও প্রকাশ করে তা দেখিয়েছেন এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী। এছাড়া পাকিস্তানের পাঠানো চিনা পিএল-১৬ মিসাইল কীভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। তার টুকরোগুলোও দেখানো হল স্ক্রিনে। পাকিস্তানের পাঠানো একটি রকেটের টুকরোও দেখানো হল। সেই সঙ্গে ভারতীয় সেনা এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছে, ভারতের কোনও সেনাঘাঁটিতেই কোনও ক্ষতি হয়নি। কোনও অপারেশন হলে, সেনা তার জন্য তৈরি আছে বলেও জানানো হয়েছে।
রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বায়ু সেনাঘাঁটি (Operation Sindoor)
সেনাবাহিনীর একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বায়ু সেনাঘাঁটির রানওয়েতে পুকুর মতো বিরাট গর্ত তৈরি হয়েছে (Operation Sindoor)। বিস্ফোরণে আগুন ধরে গিয়েছে আশপাশের এলাকায়। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে জায়গাটা।পাক সেনা সদর দফতরের কাছে ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে রাওয়ালপিণ্ডির এই বায়ু সেনাঘাঁটি। শক্তিশালী বিস্ফোরণে এলাকাজুড়ে রয়েছে ধ্বংসের নানা চিহ্ন।
আরও পড়ুন: DGMO: ডিজিএমও-র মুখে বিরাট কোহলির উদাহরণ, পাকিস্তানকে কোন বার্তা দিতে এই উদাহরণ ভারতীয় সেনার?
ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (Operation Sindoor)
এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী জানিয়েছেন, ‘ভারতের দুর্ভেদ্য এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমে দাঁত ফোটাতে পারেনি পাকিস্তান। পাক বিমানের হামলা, ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ রুখেছে বায়ুসেনা। শুধু আধুনিক অস্ত্র নয়, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাজে এসেছে তথাকথিত পুরনো অস্ত্রও। চিনে তৈরি রকেট উড়ে এসেছিল পাকিস্তান থেকে, সবকটিকে নামিয়েছে বায়ুসেনা। স্বয়ংক্রিয় চিনা পাক ড্রোনকেও ধ্বংস করেছে বায়ুসেনা।’
নৌসেনার বিবৃতি (Operation Sindoor)
নৌসেনা অপারেশনস ডিরেক্টর জেনারেল ভাইস অ্যাডমিরাল এ এন প্রমোদ জানান, নৌবাহিনী সার্বিক নেটওয়ার্ক শক্তি হিসেবে কাজ করছে, যেটি স্থল ও বায়ু উভয় ক্ষেত্রেই তৎপর। মিগ-২৯ ফাইটার জেট ও এয়ারবর্ন ওয়ার্নিং হেলিকপ্টারের সহায়তায় নৌবাহিনী শত্রুপক্ষের কোনও বিমানে প্রবেশের সুযোগ দেয়নি। তিনি আরও বলেন, ‘পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলার পরপরই, ভারতীয় নৌবাহিনী তাদের বিমান ও মিসাইল প্রতিরক্ষা দক্ষতা প্রদর্শন করেছে এবং পাকিস্তানের হামলাকে মকরান উপকূলে সীমিত রাখতে বাধ্য করেছে।’