ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পাক অধিকৃত অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি ধ্বংস করতে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ ঘিরে দেশজুড়ে শুরু হয়েছিল চর্চা ও বিতর্ক(Operation Sindoor)। আন্তর্জাতিক মহলেও এই অভিযান গভীর আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত, পাকিস্তানের একের পর এক বিভ্রান্তিমূলক ও ভুয়ো তথ্য প্রচার ভারতীয় সেনাকে বেকায়দায় ফেলতে চেয়েছিল বলেই অভিযোগ। এই আবহেই সাংগ্রি-লা ডায়ালগে ভারতীয় সেনা সর্বাধিনায়ক (Chief of Defence Staff) জেনারেল অনিল চৌহান জানালেন, “অভিযানের প্রায় ১৫ শতাংশ সময় খরচ হয়েছে এই ভুয়ো গল্পগুলোর মোকাবিলায়।”
তথ্যযুদ্ধের বাস্তব ছবি (Operation Sindoor)
সিঙ্গাপুরে চলমান ‘সাংগ্রি-লা ডায়ালগ’-এর মঞ্চে জেনারেল চৌহান জানান, যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে আরেকটি বড় যুদ্ধ লড়তে হয়েছে—তা হল তথ্যের যুদ্ধ(Operation Sindoor)। “ভুয়ো খবরের বিরুদ্ধে লড়াই একটা চলমান প্রক্রিয়া। আমরা অত্যন্ত সচেতনভাবে জনসংযোগের কৌশল স্থির করেছি। পরিমিত পদক্ষেপে এগিয়েছি, অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া জানাইনি,” বলেন তিনি। তাঁর মতে, ভুয়ো তথ্যের প্রভাবে জনমত প্রভাবিত হতে পারে, যার প্রভাব পড়তে পারে অভিযানের মনোবল ও উদ্দেশ্যের উপর।
নারী অফিসারদের অগ্রণী ভূমিকা(Operation Sindoor)
অভিযানের সূচনায় সেনার (INDIAN ARMY) মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দুই মহিলা অফিসার— কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংহ। জেনারেল জানান, “প্রথম তিন দিন আমাদের সামরিক কর্তারা অভিযানে ব্যস্ত থাকায় এই দুই অফিসারই জনসংযোগের দায়িত্ব সামলান। পরে ডিজিএমও (Director General of Military Operations) তথ্য পরিবেশনের দায়িত্বে আসেন।”

আরও পড়ুন:Pakistan Afganistan Ties : পাক ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে তালিবান! নেপথ্যে চিনের কূটনৈতিক কৌশল
উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োগ ও সুরক্ষা ব্যবস্থা(Operation Sindoor)
‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারত ‘নন-কনট্যাক্ট’ প্রযুক্তির মাধ্যমে শত্রুপক্ষকে লক্ষ্যবস্তু করেছে বলে জানিয়েছেন চৌহান। তিনি বলেন, “আমরা দেশীয় প্রযুক্তির উপর ভরসা করেছি(Operation Sindoor)। দেশি ও বিদেশি র্যাডারের সম্মিলিত ব্যবস্থার সাহায্যে নির্ভুল ভাবে অভিযান চালানো হয়েছে।” তিনি আরও জানান, ভারতের প্রতিরক্ষা পরিকাঠামো ইন্টারনেট সংযুক্ত নয়—ফলে তা অনেক বেশি সুরক্ষিত। যদিও কিছু সরকারি ওয়েবসাইটে সাইবার হামলা হয়, সেগুলো যুদ্ধ-অভিযানের উপর কোনও প্রভাব ফেলে না বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।

আরও পড়ুন: Russia Ukraine War : রাশিয়ায় জঙ্গি হামলার ছক! হামলার নিন্দা পুতিনের
পাকিস্তানের ক্ষয়ক্ষতির সত্যতা ও এআই-এর ভবিষ্যৎ(Operation Sindoor)
সিঁদুর অভিযানে পাকিস্তানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, যদিও ইসলামাবাদ তা স্বীকার করতে চায়নি(Operation Sindoor)। তবে এবার ভারতীয় পক্ষ স্পষ্ট জানাল, তাদের একটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে। ব্লুমবার্গকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেনারেল চৌহান নিজেই এই তথ্য স্বীকার করেছেন—যা এই প্রথম ভারত সরকারীভাবে মেনে নিল। তিনি আরও জানান, “ভবিষ্যতের যুদ্ধক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) ভূমিকা বাড়বে। আকাশ, স্থল ও সমুদ্র—তিন বাহিনীর মধ্যে সুসংহত যোগাযোগ গড়ে তুলতে হবে।” ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ একই সঙ্গে একাধিক স্থানে হামলা চালিয়ে ভারত দেখিয়ে দিয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তি আর কৌশলের সঠিক প্রয়োগেই শত্রুপক্ষকে কোণঠাসা করা সম্ভব।
তথ্য-যুদ্ধ, প্রযুক্তিগত সাফল্য(Operation Sindoor)
‘অপারেশন সিঁদুর’ কেবল একটি সামরিক অভিযান নয়, এটি একটি তথ্য-যুদ্ধ, প্রযুক্তিগত সাফল্য এবং কৌশলগত দূরদর্শিতার নিদর্শন হয়ে উঠেছে(Operation Sindoor)। জেনারেল অনিল চৌহানের বক্তব্য ভারতীয় সেনার নতুন যুগের প্রতিচ্ছবি—যেখানে মাঠে যেমন আক্রমণ, তেমনি মিথ্যে ও প্রচারের বিরুদ্ধে নির্ভরযোগ্য সত্যের সুনির্মল প্রতিবাদ।