ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’(Operation Sindoor)। গত ৭ মে মধ্যরাতে চালানো এই সুনির্দিষ্ট ও প্রত্যাঘাতমূলক অভিযানে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (পিওজেকে) নয়টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় বাহিনী (INDIAN ARMY)। অভিযানে নিহতদের মধ্যে রয়েছে কুখ্যাত জইশ-ই-মহম্মদ নেতা আবদুল রউফ আজহার, যার নাম বহু বছর ধরেই আন্তর্জাতিক ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিল।
ড্যানিয়েল পার্ল অপহরণ ও হত্যা (Operation Sindoor)
রউফের মৃত্যুকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ বিরোধী লড়াইয়ে এক ঐতিহাসিক সাফল্য হিসেবে দেখছে ভারতীয় কূটনীতি ও প্রতিরক্ষা মহল (Operation Sindoor)। ২০০২ সালে ড্যানিয়েল পার্ল অপহরণ ও হত্যা মামলার মূল চক্রী এই রউফ, পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জইশ-ই-মহম্মদের প্রতিষ্ঠাতা মৌলানা মাসুদ আজহারের ভাই। মোসাদ দীর্ঘ দুই দশক ধরে তার খোঁজে তৎপর ছিল, অথচ বারবার পাকিস্তানের সামরিক সুরক্ষা বলয়ে সে ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে গিয়েছে।‘অপারেশন সিঁদুর’-এ তার নিহত হওয়া ইজ়রায়েলের কাছে ভারতের একটি ‘প্রতীকী উপহার’ বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা। পশ্চিম এশিয়ার এই ইহুদি রাষ্ট্র বহুদিন ধরেই ভারতের কৌশলগত সহযোগী, বিশেষত প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা ক্ষেত্রে। অভিযানে ব্যবহৃত ইজ়রায়েলি ‘হারোপ’ ড্রোনই এর অন্যতম প্রমাণ। এর মাধ্যমেই পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং জঙ্গি ঘাঁটিতে সুনির্দিষ্ট আঘাত হানা হয় (Operation Sindoor)।
ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা (Operation Sindoor)
অভিযানকে কেন্দ্র করে পরবর্তী চার দিন ধরে চলা ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ কার্যত সীমিত সময়ের অঘোষিত ‘যুদ্ধ’-এ রূপ নেয় (Operation Sindoor)। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হলেও, ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেগুলিকে সফলভাবে প্রতিহত করে। নয়াদিল্লি পাল্টা হামলায় পাকিস্তানের রফিকি, মুরিদ, রহিম ইয়ার খান, সুক্কুর এবং শিয়ালকোটের গুরুত্বপূর্ণ বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলি আঘাত করে।

সংঘর্ষবিরতি কার্যকর(Operation Sindoor)
এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার মধ্যস্থতায় সংঘর্ষবিরতি কার্যকর হয় (Operation Sindoor)। তবে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর ফলে শুধু সীমান্তেই নয়, কূটনৈতিক স্তরেও পাকিস্তানের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়েছে। মাসুদ আজহারের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, অভিযানে তার পরিবারের একাধিক সদস্যও নিহত হয়েছেন, যা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা প্রকাশ্যে এনেছে।বিশ্লেষকদের মতে, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটক-সহ ২৬ জন সাধারণ নাগরিক হত্যার পর ভারতের এই জবাব কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত, পাকিস্তানের আকাশপথ বন্ধ, এবং ভিসা বন্ধের মতো সিদ্ধান্ত সেই প্রতিক্রিয়ারই অঙ্গ।

Statue of Donald Trump : লড়াই, লড়াই, লড়াই চাই! প্রচারে হামলার স্মরণে ওভাল অফিসে ট্রাম্পের মূর্তি
ভারতের কড়া কূটনৈতিক অবস্থান(Operation Sindoor)
১২ মে ভারত ও পাকিস্তানের ডিজিএমও পর্যায়ের আলোচনায় ফের পরিস্থিতি পর্যালোচনা হবে(Operation Sindoor)। মোদী সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—পাকিস্তান ফের আগ্রাসী মনোভাব দেখালে তা সরাসরি ‘যুদ্ধ’ বলে গণ্য করা হবে। এ অবস্থায় ভারতীয় কূটনীতির কড়া অবস্থান, ইজ়রায়েলি সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন—তিনে মিলে ভারতের প্রতিরক্ষা কৌশলে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে।