ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শশী থারুরের পর এবার মনীশ তিওয়ারি। সংসদে পহেলগাঁও সন্ত্রাস এবং অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিতর্কে কংগ্রেস যখন নরেন্দ্র মোদী সরকারকে কোণঠাসা করতে চাইছে সেই সময় দলের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব যেন শতাব্দী প্রাচীন দলটিকেই সমস্যায় ফেলে দিচ্ছে(Trouble within Congress)। লোকসভায় আলোচনায় বক্তাদের তালিকায় শশীর না থাকার কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে, তিনি পার্টিলাইন মেনে বক্তব্য রাখতে রাজি হননি। তাই তাঁকে বক্তা হিসেবে ভাবা হয়নি। এই নিয়ে বিতর্কের মধ্যে মনীশের পোস্ট ঘিরে ছড়াল জল্পনা।
বেসুরো মনীশ তিওয়ারি? (Trouble within Congress)
এক্স বার্তায় সাংসদ মনীশ তিওয়ারি কেন তাঁকে এবং শশী থারুরকে লোকসভায় আলোচনায় বক্তাদের তালিকায় রাখেনি কংগ্রেস, সেই নিয়ে সংবাদ প্রতিবেদনের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন (Trouble within Congress)। একইসঙ্গে ‘পূর্ব অর পশ্চিম’-এর মতো জনপ্রিয় দেশাত্মবোধক ছবির গানের লাইন লিখেছেন, ‘হয় প্রীত জাহান কি রীত সাদা, মে গান ওয়াহান কি গাতা হুঁ, ভারত কা রেহেনে ওয়ালা হুঁ, ভারত কি বাত সুনতা হুঁ। জয় হিন্দ!’ আর তাঁর এই পোস্টারের পরেই কংগ্রেসের অন্দরে নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

কংগ্রেসের তালিকায় বিতর্ক (Trouble within Congress)
বস্তুত, সংসদে বিতর্কের কংগ্রেসের তালিকায় নাম ছিল না শশী থারুর এবং মনীশ তিওয়ারির (Trouble within Congress)। আর ঘটনাচক্রে দুজনেই পহেলগাঁও জঙ্গিহানা, ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের অনমনীয় মনোভাব গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে সব দলের সাংসদদের নিয়ে ডেলিগেশন টিম তৈরি করা হয়েছিল, তার সদস্য ছিলেন। শশী ও মনীশ, দু’জনেই পহেলগাঁও হামলা ও অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ভারত সরকারের বক্তব্য বিশ্বের সামনে তুলে ধরেন।বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা এবং সলমন খুরশিদও প্রতিনিধি দলের অংশ ছিলেন, তবে তারা বর্তমানে সাংসদ নন।
শশী থারুরকে নিয়ে অসন্তোষ (Trouble within Congress)
দিল্লির অন্দরের খবর, শশী থারুরকে অনুরোধ করা হয়েছিল পহেলগাঁও হামলা এবং অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীপক্ষের অন্যতম মুখ হয়ে সংসদে কথা বলার জন্য(Trouble within Congress)। কিন্তু শশী থারুর জানিয়ে দেন, তিনি অপারেশন সিঁদুরকে সমর্থন করেন এবং নিজের আগের বক্তব্যের সঙ্গে বিরোধিতা করে শুধু দলের প্রচারের খাতিরে কিছু বলতে পারবেন না।ফলে শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নেয়, বিতর্কে তিনি মুখ খুলবেন না।সম্প্রতি মার্কিন সফরে গিয়ে পহেলগাঁও-কাণ্ড ও ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী নীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন শশী থারুর। তার জেরেই কংগ্রেস নেতৃত্বের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। শোনা যায়, ওই সফরে তিনিই ছিলেন প্রধান বক্তা, সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে নয়, কিন্তু বিরোধী সাংসদ হিসেবে তাঁর ভূমিকায় কংগ্রেস অস্বস্তিতে পড়ে।

বিজেপির খোঁচা (Trouble within Congress)
অন্যদিকে, লোকসভায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে আলোচনায় বক্তাদের তালিকায় দলীয় সাংসদ শশী থারুরকে রাখেনি কংগ্রেস(Trouble within Congress)। তা নিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্ব খোঁচা দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ বৈজয়ন্ত পাণ্ডা। তিনি বলেন, ‘আপনারা (কংগ্রেস) যদি একটু স্বাধীন ভাবে কাজ করার সুযোগ দিতেন, তা হলে তো আরও মজা হত। আপনাদের অনেক নেতাই খুব ভাল বক্তৃতা দেন। আমার বন্ধু শশী থারুর অসাধারণ বক্তৃতা করেন, কিন্তু তাঁর নেতৃত্ব তাঁকে দলের পক্ষ থেকে কথা বলতে দেয় না। তবে আমার খুব ভাল লেগেছে এটা দেখে যে, দেশকে সমর্থন করে কথা বলার সময় কেউ তাঁকে থামাতে পারেনি।’
আরও পড়ুন-Rajasthan MP: ‘পাকিস্তান এখন ভারতের স্ত্রী!’ আরএলপি সাংসদের মন্তব্যে হাসির রোল লোকসভায়
কংগ্রেসে অন্তর্দ্বন্দ্ব (Trouble within Congress)
প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের এই অন্তর্দ্বন্দ্ব যে দলীয় হাই কমান্ডকে অস্বস্তিতে রাখছে তা নিশ্চিত(Trouble within Congress)। কয়েক দিনে বেসুরো হয়েছিলেন খোদ দলের সর্বভারতীয় সভাপতি কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে ডামাডোলের মাঝেই নিজের অতীত রাজনৈতিক জীবনের ক্ষোভ, দুঃখ, হতাশা ফুটে উঠেছিল তাঁর গলায়। এবার শশী-মনীশের মতো দুই সিনিয়র নেতার অবস্থান যে কংগ্রেসকে আরও চিন্তায় রাখবে তা পরিষ্কার।তবে সরাসরি কিছু বলেননি মনীশ। কিন্তু তাঁর পোস্টেই যে তিনি শশীর মতোই বক্তব্য রাখলেন তা স্পষ্ট বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
