ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: জম্মু-কাশ্মীরের কিস্তওয়ার জেলায় ছাত্রুর গভীর জঙ্গলে শুক্রবারও টানা দ্বিতীয় দিনের মতো জঙ্গিদের খোঁজে অভিযান চালাচ্ছে সেনা (Operation Trashi)। এই অভিযানকে নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ত্রাসি’। সেনা (INDIAN ARMY) সূত্রে খবর, ওই এলাকায় এখনও ৩ থেকে ৪ জন সশস্ত্র জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার প্রথম জঙ্গিদের উপস্থিতির খবর মেলে। সেনার ‘হোয়াইট নাইট কোর’ জানিয়েছে, গোয়েন্দা সূত্রে তথ্য পাওয়ার পরেই কিস্তওয়ার অঞ্চলে অভিযান শুরু হয়। জঙ্গিরা সেনাদের লক্ষ করে গুলি চালালে শুরু হয় পাল্টা গুলির লড়াই। দীর্ঘক্ষণ চলা ওই সংঘর্ষে দুই জঙ্গি নিহত হয়। কিন্তু সেনার পক্ষ থেকেও এক জওয়ান শহিদ হয়েছেন বলে খবর।
দুর্গম ছাত্রুর জঙ্গলে তল্লাশি (Operation Trashi)
ছাত্রুর ঘন জঙ্গল বরাবরই অত্যন্ত দুর্গম এলাকা হিসেবে পরিচিত। সেখানে টিকে থাকা বা লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের জন্য সহজ হলেও, অভিযান চালানো সেনার কাছে চরম চ্যালেঞ্জ (Operation Trashi)। তাই শুক্রবার ভোর থেকে নতুন করে আরও জোরদার তল্লাশি শুরু করেছে সেনা। এই অভিযানে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ইউনিট, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (SOG) এবং কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী CRPF যৌথভাবে অংশ নিচ্ছে। সেনা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জঙ্গিরা দু’টি দলে ভাগ হয়ে থাকতে পারে এবং ছড়িয়ে পড়েছে ছাত্রুর আশপাশের গ্রামগুলিতে। সিংপোরা ও বেঘপোরা গ্রামেও এখন তল্লাশি চলছে। সেনার ড্রোন, থার্মাল ইমেজিং এবং সেন্সর প্রযুক্তি ব্যবহার করে গোটা অঞ্চল চিহ্নিত করে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে (Operation Trashi)।
সোপিয়ান, ত্রাল এবং কিস্তওয়ারে একের পর এক অভিযান (Operation Trashi)
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দক্ষিণ কাশ্মীর জুড়ে একাধিক জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে সেনা (Operation Trashi)। কিছু দিন আগেই সোপিয়ান ও ত্রালে পৃথক অভিযানে ছয় জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছিল। কিস্তওয়ার সেই ধারাবাহিকতায় নতুন সংযোজন।বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রীষ্মকাল শুরু হতেই সীমান্ত পার করে অনুপ্রবেশের চেষ্টা বাড়ছে। সেই কারণেই উপত্যকার বিভিন্ন অঞ্চলে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি ও তল্লাশি অভিযান।

বাড়ছে জঙ্গি তৎপরতা, কড়া জবাব প্রস্তুত (Operation Trashi)
পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর হামলার পর থেকে উপত্যকায় সেনা আরও তৎপর হয়েছে (Operation Trashi)। প্রতিটি জঙ্গি গোষ্ঠীর গতিবিধি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশ করে আসা একাধিক গোষ্ঠী জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন দুর্গম অঞ্চলে লুকিয়ে রয়েছে।সেনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, “আমরা যেকোনও মূল্যে এদের নির্মূল করব। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং উপত্যকাকে জঙ্গিমুক্ত করাই আমাদের লক্ষ্য।”অপারেশন ‘ত্রাসি’ চলবে যতক্ষণ না শেষ জঙ্গি ধরা পড়ে বা নিকেশ হয়। কিস্তওয়ারের ছাত্রু এলাকায় সেনার উপস্থিতি আরও মজবুত করা হয়েছে। সূত্রের মতে, আগামী কয়েক দিন এ ধরনের আরও অভিযান দেখা যেতে পারে, কারণ উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা দমন এখন সেনার প্রধান অগ্রাধিকার।