Last Updated on [modified_date_only] by Debu Das
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক বহু দশক ধরেই সীমান্ত সংঘর্ষ, সন্ত্রাসবাদ এবং কূটনৈতিক টানাপোড়েনে ভরা(Operation Whitewash)। ২০১৬ সালে উরি হামলার পর ভারত সেনা সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মাধ্যমে পাকিস্তানের জঙ্গি শিবিরে আঘাত হানে। এরপর থেকেই ভারতীয় সেনার মধ্যে সীমান্ত পার হওয়া প্রতিরোধমূলক অভিযানের গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনায় উঠে এসেছে একটি বিশেষ গোপন অভিযান—‘অপারেশন হোয়াইটওয়াশ’। শোনা যাচ্ছে, এই অভিযানে ভারত প্রথমবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে KALI (Kilo Ampere Linear Injector) নামের এক রহস্যময় অস্ত্র ব্যবহার করেছে। যদিও সরকারি ভাবে এর কোনও স্বীকৃতি নেই, তবে প্রতিরক্ষা মহলে ফিসফাস চলছে যে এটি ছিল আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর একটি অভূতপূর্ব পদক্ষেপ।
KALI অস্ত্র আসলে কী? (Operation Whitewash)
KALI আসলে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা DRDO এবং ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের যৌথ প্রকল্প(Operation Whitewash)। এটি প্রচলিত অর্থে মিসাইল বা বন্দুক নয়। বরং এক ধরনের ডিরেক্টেড এনার্জি ওয়েপন, যা শক্তিশালী ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রশ্মি (EMP Pulse) বা হাই-এনার্জি ইলেকট্রন বিম ছুঁড়ে শত্রুর ইলেকট্রনিক সিস্টেমকে অচল করে দিতে পারে। সহজ কথায়, KALI অস্ত্র দিয়ে শত্রুপক্ষের রাডার, যোগাযোগ ব্যবস্থা, মিসাইল গাইডেন্স কিংবা বিদ্যুত্-চালিত যন্ত্রপাতি মুহূর্তে নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব।
অপারেশন ‘হোয়াইটওয়াশ’-এর মূল লক্ষ্য কী? (Operation Whitewash)
অপারেশন হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্য ছিল পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সক্রিয় জঙ্গি ঘাঁটি ও তাদের রসদ সরবরাহের চ্যানেল ধ্বংস করা(Operation Whitewash)। তবে এ বার ভারতের কৌশল ছিল ভিন্ন। সীমান্তে সরাসরি গোলাবর্ষণের বদলে শত্রুপক্ষের প্রযুক্তিগত অবকাঠামোকে ভেঙে দেওয়া হয় মূল উদ্দেশ্য। KALI অস্ত্র এই কাজের জন্য একেবারে উপযুক্ত, কারণ এটি মানুষকে সরাসরি না মেরে, প্রতিপক্ষের অস্ত্রশস্ত্রকে অকার্যকর করে দেয়।
অভিযানের ধাপে ধাপে বিবরণ (Operation Whitewash)
অভিযানের সুনির্দিষ্ট তথ্য গোপন রাখা হয়েছে(Operation Whitewash)। তবে প্রতিরক্ষা সূত্রের দাবি অনুযায়ী, অপারেশন হোয়াইটওয়াশের পরিকল্পনা কয়েক মাস ধরেই চলছিল।
- তথ্য সংগ্রহ – স্যাটেলাইট নজরদারি ও গোয়েন্দা ড্রোনের মাধ্যমে পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে জঙ্গি শিবির, অস্ত্রভাণ্ডার ও রাডার স্টেশনের অবস্থান চিহ্নিত করা হয়।
- ইলেকট্রনিক টার্গেটিং – এরপর নির্দিষ্ট টার্গেটে KALI অস্ত্র স্থাপন করে অতি উচ্চ ভোল্টেজের ইলেকট্রন বিম ব্যবহার করে শত্রুর যোগাযোগ ব্যবস্থা ও নজরদারি রাডার নষ্ট করা হয়।
- অভ্যন্তরীণ অচলাবস্থা – পাকিস্তানি সেনার সিগন্যাল ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় সীমান্ত ঘাঁটি গুলিতে বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
- অবশেষে স্থল আক্রমণ – ভারতীয় সেনার বিশেষ বাহিনী সীমান্ত পেরিয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জঙ্গি শিবিরে হামলা চালায়। অস্ত্রভাণ্ডার ধ্বংস করে দেওয়া হয়।
পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া (Operation Whitewash)
পাকিস্তান এই অভিযানের কথা সরাসরি স্বীকার করেনি(Operation Whitewash)। তবে ইসলামাবাদ থেকে জানানো হয় যে, তাদের কয়েকটি সীমান্ত রাডার স্টেশন হঠাৎ করে বিকল হয়ে যায় এবং সাময়িকভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা অভিযোগ করেন, ভারত ইলেকট্রোম্যাগনেটিক পালস অস্ত্র ব্যবহার করে তাদের সামরিক অবকাঠামোতে আঘাত হেনেছে। যদিও তারা এটিকে আন্তর্জাতিক যুদ্ধবিধির পরিপন্থী বলে দাবি করে।

আরও পড়ুন : Future Weapons of India : ভারতের ৫ টি ভবিষ্যৎ অস্ত্র! যা বদলে দেবে বহু ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ
আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিক্রিয়া (Operation Whitewash)
অপারেশন হোয়াইটওয়াশ এবং KALI অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও তোলপাড় শুরু হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলেন, ভারত যদি সত্যিই KALI অস্ত্র ব্যবহার করে থাকে, তবে এটি দক্ষিণ এশিয়ার অস্ত্র প্রতিযোগিতার মানচিত্র বদলে দিতে পারে। কারণ, এখন পর্যন্ত ডিরেক্টেড এনার্জি ওয়েপনের বাস্তব প্রয়োগ খুব সীমিত। ভারত এই প্রযুক্তি ব্যবহার করলে তা চীন ও পাকিস্তানের জন্য নতুন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
কেন ‘হোয়াইটওয়াশ’? (Operation Whitewash)
এই অপারেশনের নামকরণও প্রতীকী। ক্রিকেটে যেমন প্রতিপক্ষকে পুরোপুরি হারিয়ে ‘হোয়াইটওয়াশ’ করা হয়, তেমনই পাকিস্তানের সীমান্তে জঙ্গি নেটওয়ার্ক এবং সামরিক প্রযুক্তি পুরোপুরি ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই অভিযান। যদিও সরকারিভাবে এই নাম ঘোষণা করা হয়নি, প্রতিরক্ষা মহলে এটি ‘অপারেশন হোয়াইটওয়াশ’ হিসেবেই পরিচিত।
আরও পড়ুন : SCO Summit 2025 : সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন কী? কারা সদস্য ? কী কাজ এই সংস্থার ?
ভারতের কৌশলগত সাফল্য (Operation Whitewash)
- সীমান্তে জঙ্গি নাশকতা কমেছে।
- পাকিস্তানি সেনার নজরদারি ক্ষমতা দুর্বল হয়েছে।
- আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারত প্রযুক্তি-নির্ভর সামরিক শক্তি হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে।
- ভবিষ্যতে বড় যুদ্ধ ছাড়াই প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার নতুন কৌশল তৈরি হলো।
বিশেষজ্ঞ মত (Operation Whitewash)
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, KALI অস্ত্রের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি নন-লিথাল (প্রাণঘাতী নয়)। অর্থাৎ, এটি মূলত যন্ত্রপাতি ধ্বংস করে, মানুষকে নয়(Operation Whitewash)।এতে আন্তর্জাতিক চাপ তুলনামূলকভাবে কম আসে। একই সঙ্গে শত্রুর যুদ্ধ করার ক্ষমতা অকার্যকর হয়ে পড়ে। তবে তাঁদের সতর্কবাণীও রয়েছে। এই ধরনের অস্ত্রের ব্যবহার যদি প্রমাণিত হয়, তবে পাকিস্তানও পাল্টা একই ধরনের প্রযুক্তি তৈরি করার চেষ্টা করবে। আবার চীনও দক্ষিণ এশিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপ আরও বাড়াতে পারে। ফলে আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও জটিল হতে পারে।
অপারেশন হোয়াইটওয়াশ ভারতীয় সেনার একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কৌশলগত সাফল্য অর্জনের পাশাপাশি এটি ভারতের সামরিক প্রযুক্তির এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। KALI অস্ত্র ব্যবহার করে ভারত প্রমাণ করল, আধুনিক যুদ্ধে শুধু গোলা-বারুদ নয়, ইলেকট্রনিক যুদ্ধও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে এই অভিযান এবং KALI প্রযুক্তি নিঃসন্দেহে এক নতুন সমীকরণ তৈরি করবে।
FAQ
প্রশ্ন:১ KALI অস্ত্র কী?
উত্তর : KALI আসলে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা DRDO এবং ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের যৌথ প্রকল্প। এটি প্রচলিত অর্থে মিসাইল বা বন্দুক নয়। বরং এক ধরনের ডিরেক্টেড এনার্জি ওয়েপন, যা শক্তিশালী ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রশ্মি (EMP Pulse) বা হাই-এনার্জি ইলেকট্রন বিম ছুঁড়ে শত্রুর ইলেকট্রনিক সিস্টেমকে অচল করে দিতে পারে।
প্রশ্ন:২ KALI অস্ত্রের পুরো কথা বা Full form কী?
উত্তর : KALI -Kilo Ampere Linear Injector
প্রশ্ন:৩ Operation Whitewash আসলে কী?
উত্তর : পাকিস্তানের বিরুদ্ধে kali অস্ত্র ব্যবহার করে যে অপারেশন হয়েছিল সেটাই Operation Whitewash নামে পরিচিত।