ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পহেলগাম হামলা (Pahalgam Attack) এবং সরকার ভবিষ্যতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে তা নিয়ে আলোচনা করার জন্য সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি তুলতে চলেছে। কংগ্রেস, তৃণমূল এবং বিরোধী শিবিরের অন্য দলগুলির মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং বর্তমানে নির্দল সাংসদ কপিল সিব্বলের তরফেই প্রথম এই ভাবনার কথা বাকি বিরোধী দলগুলিকে জানানো হয়েছে। এখন কংগ্রেস নেতৃত্ব বাকি দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করছে বলে জানা যাচ্ছে।
বিশেষ অধিবেশনের দাবি তাৎপর্যপূর্ণ (Pahalgam Attack)
গত সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে সমস্ত বিরোধী দল কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপকে সমর্থন করেছে, তাই বিশেষ অধিবেশনের দাবি তাৎপর্যপূর্ণ (Pahalgam Attack)। বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ঘোষণা করেছিলেন যে কেন্দ্র যদি এই বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ নেয় তবে বিরোধী দলগুলি যে কোনও পদক্ষেপকে সমর্থন করবে। বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে সর্বদলীয় বৈঠকে , বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতা – কংগ্রেস সভাপতি এবং রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে , রাহুল গান্ধী, টিএমসির সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এএপির সঞ্জয় সিং – সরকারকে প্রশ্ন করেছিলেন, বলেছিলেন যে এই আক্রমণটি নিরাপত্তা এবং গোয়েন্দা ক্ষেত্রে “ত্রুটি” নির্দেশ করে ।
ভবিষ্যতের জন্য সেগুলি সংশোধন (Pahalgam Attack)
বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকার ত্রুটিগুলি স্বীকার করেছে। “যদি কোনও ভুল না হত, তাহলে আমরা এখানে কেন বসে থাকতাম? কোথাও এমন ত্রুটি রয়েছে যা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে এবং আমরা ভবিষ্যতের জন্য সেগুলি সংশোধন করতে চাই,” বৈঠকে সরকারের একজন শীর্ষ নেতার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে (Pahalgam Attack)। প্রকৃতপক্ষে, সর্বদলীয় বৈঠকেই বিশেষ সংসদ অধিবেশনের দাবির কথা প্রথম বলেছিলেন ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগের (আইইউএমএল) প্রতিনিধি এবং রাজ্যসভার সাংসদ হারিস বীরান।
আরও পড়ুন: Youtube Channel Banned: পাক ইউটিউব চ্যানেলের উপর ভারতের নিষেধাজ্ঞা!
বিরোধীরা সরকারের পাশে থাকার বার্তা
সর্বদলীয় বৈঠক হলেও খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেখানে হাজির ছিলেন না। হামলার জবাবে প্রত্যাঘাতের প্রশ্নে বিরোধীরা সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যর্থতা নিয়ে মোদী সরকারের দায়বদ্ধতা নির্ধারণ করাও জরুরি। মোদী প্রকাশ্যেই আসছেন না। কংগ্রেসের নেতারা আজ মোদীর আড়ালে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। গোয়েন্দা ব্যর্থতা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। তাঁদের মতে, সংসদে আলোচনা হলে গোয়েন্দা ব্যর্থতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে।
আলোচনা চলছে বিরোধীদের মধ্যে
সূত্রের খবর, গত দু’দিন ধরে এ নিয়ে আলোচনা চলছে বিরোধীদের মধ্যে। সিব্বল বলেন, “আমি ২৫ এপ্রিল প্রস্তাব দিয়েছিলাম, সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকে দেশের ঐক্য দেখানো হোক। আমি সব দলকে অনুরোধ করছি যাতে তারা সরকারকে বলেন, মে মাসেই এই অধিবেশন ডাকার জন্য।” সূত্রের খবর, সর্বদলীয় বৈঠকে আইইউএমএল সাংসদ হ্যারিস বীরানও বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা বলেছিলেন।